এবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক মিশনারি স্কুলে বজরং দলের (Bajrang Dal) বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠল। সোমবার দ্বাদশ শ্রেণির অঙ্ক পরীক্ষা চলাকালীন একদল দুষ্কৃতী স্কুলে হামলা চালায়। স্কুল ক্যাম্পাসে ঢুকে অনবরত পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই দুষ্কৃতীদের দলে বজরং বাহিনী এবং স্থানীয় মানুষের সম্মিলিত তান্ডবে অচিরেই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরে পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হলে তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন বলে খবর।
ঠিক কী কারণে এই হামলা? সূত্র মারফত খবর, স্কুলটি একটি মিশনারি স্কুল। বজরং বাহিনীর অভিযোগ, এই বিদ্যালয় থেকে হিন্দু ধর্মবিরোধী কথা শোনা যায়। শিক্ষার্থীদের মধ্যেই এই ধরণের আলাপচারিতার কথা শোনা যায়। তাছাড়া সামাজিক মাধ্যমে একটি গুজব রটে যায় যে এই বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির হাত ধরে অন্তত আটজনের ধর্মান্তকরণ হওয়ার কথা। আর তারপরেই একদল দুষ্কৃতী সোমবার স্কুলে হামলা চালায়। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমেই প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে (যদিও 'পরিদর্শক' এই ভিডিও ফুটেজ যাচাই করেনি) দেখা গেছে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী, যাদের হাতে লাঠি, বাঁশ, পাথর, ইট অতর্কিতে স্কুল ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা চালায়। একদল উত্তপ্ত জনতা স্কুলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে স্কুলে ঢুকে পড়ছে। পুলিশ সেই সময় সেই জনতাদের যথাসম্ভব শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
সূত্রের খবর, ঘটনার পর মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার গঞ্জ বাসদা শহরের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের। ইতিমধ্যেই আরও কিছু স্কুলে বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। এমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে নজর রাখছে প্রশাসন। দ্য সেন্ট জোসেফ স্কুলের ম্যানেজার দাবি করেছেন, তিনি আগে থেকেই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের হাত ধরে এই হামলার খবর জানতে পেরেছিলেন। তিনি প্রশাসনকে আগে থেকে বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোন বাড়তি নিরাপত্তা পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, স্কুলে কোনপ্রকার ধর্মবিরোধী আলোচনা হয়নি। যদিও স্থানীয় বজরং দলের নেতৃত্ব জানিয়েছেন, আবার যদি এই স্কুলের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ওঠে, তাহলে এই স্কুলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।