গত জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে তৈরি হওয়া হিজাব বিতর্কের (Hijab Row) আজ রায় দেবে কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব কিংবা কোন প্রকার ধর্মীয় পোশাক ব্যবহার কি নিষিদ্ধ করবে কর্নাটক হাইকোর্ট? সেই দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।
এদিকে আজকের রায়দানের ঘটনায় কর্নাটকের বিভিন্ন জায়গা-সহ বেঙ্গালুরুতে জারি হয়েছে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। বিভিন্ন জায়গায় জারি ১৪৪ ধারা। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কামাল পন্থ এক নির্দেশিকার মাধ্যমে জানিয়েছেন, কোন জায়গায় অযথা জমায়েত করা চলবে না। এর অন্যথা হলেই পুলিশের তরফে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এমনকী ১৫ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে কোন প্রকার অনুষ্ঠান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল কর্নাটক হাইকোর্টের সঙ্গে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের বিশেষ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।
চলতি বছরের জানুয়ারিতেই হিজাব বিতর্কের সূত্রপাত। কর্নাটকের উদীপি জেলার একদল ছাত্রী হিজাব ব্যবহার নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করে। তাঁরা আদালতে গিয়ে সরকারের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানায়। তাঁদের পরিষ্কার দাবি ছিল সংবিধানের অধিকার মোতাবেক ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার সকলের আছে। এখানে সরকার চাইলে জোর করে তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। পাল্টা কর্নাটক সরকার যুক্তি দেখায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয় এত তাড়াহুড়োর কিছু নেই। কর্নাটক হাইকোর্ট বিষয়টি দেখবে। আর তারপর থেকেই দেশজুড়ে ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। এমনকী পাকিস্তান-সহ পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ ভারতের এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শুরু করে। তার প্রেক্ষিতে এই হিজাব বিতর্কের রায় যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি স্পর্শকাতরও বটে বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।
রায় ঘোষণার পর পরিস্থিতি যেকোন দিকে মোড় নিতে পারে। সেদিকে কড়া রাখতে বলেছে কর্নাটক সরকার। বেঙ্গালুরুতে বাড়তে পারে রাজনৈতিক উত্তেজনা। একদল বিভেদকামী চতুর মানুষ গোটা বিষয়টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। সেদিকটি খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশকে।