মানুষের পকেটে টাকা থাকুক বা না থাকুক, একটা স্মার্টফোন সকলের রয়েছে! এমন ধারণা না হওয়ার কিছু নেই। কারণ রাস্তায় হাঁটলে দেখা যাবে, পথ চলতি সকল মানুষের হাতেই রয়েছে একটা অ্যান্ডরয়েড সেট। কিন্তু এই চিত্র শহুরে এলাকায় দেখা মিললেও, গ্রামের দিকে এই চিত্রটা দেখার সম্ভবনা নেই। ভালো দামি, উন্নত পরিষেবার ফোন না হলেও, সাদামাটা একটা অ্যান্ডরয়েড সেট কিনতেও ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। আর সেই ফোন ব্যবহার করতে মাসে লাগছে কমপক্ষে প্রায় ২০০ টাকা। ২০০ টাকার রিচার্জেও আপনি সারা মাস অফুরন্ত নেট কানেকশন পাবেন না।
এক্ষেত্রে হয় আরও ২০০ টাকা খরচ করতে হবে প্রতি মাসে, আর নয়তো বাড়িতে নিতে হবে ওয়াইফাইয়ের সুবিধা। যা খুবই ব্যয় সাপেক্ষ। একেবারেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে এসব ভাবনাও দূরের কথা। বুধবার এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। এই পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রায় ২ কোটি ৯০ লক্ষ স্কুল পড়ুয়ার নিজের বা পরিবারের কারও স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার নেই। যদিও এখনও পর্যন্ত মোট ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও রাজ্য তাদের পরিসংখ্যান জমা দেয়নি। এর মধ্যে রয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রও। এই রিপোর্ট মিললে সংখ্যাটা আরও বাড়বে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির জেরে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার জেরে অনলাইনেই চলছে সমস্ত ক্লাস। এর ফলে শিক্ষার আলো থেকে বিলুপ্ত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। কাজেই, অনলাইন শিক্ষায় বেশ ভালোই বৈষম্য ধরা পড়েছে কেন্দ্রের চোখে।
তবে এদিক থেকে দেখতে গেলে, এমন বৈষম্য করেনি রাজ্য সরকার। গত বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের ৯.৫ লক্ষ স্কুল পড়ুয়াকে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ফোনের টাকা উঠলেও, মাসে ৩০০ টাকা রিচার্জ করতেই মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে বহু পড়ুয়ার। তবে বর্তমানে বহু রাজ্যে খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পুজো মিটলে নভেম্বরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।