জ্বালানির পর এবার একলাফে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি হতে পারে নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম। জানা যাচ্ছে, আগামী মাস থেকেই দেশজুড়ে বাড়তে চলেছে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম। চলতি বছরে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচকে (WPI) ০.৫ শতাংশ পরিবর্তন করেছে কেন্দ্র সরকার। যার ফলে এই মূল্যবৃদ্ধিতে সায় দিয়েছে কেন্দ্রের ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ওষুধ প্রস্তুতকারীদের দাবি, ওষুধ শিল্পে উৎপাদন ব্যয় প্রায় ১৫-২০ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে সরকার ওষুধ প্রস্তুতকারকদের বার্ষিক পাইকারি মূল্য সূচকের (ডব্লিউপিআই) ভিত্তিতে দাম পরিবর্তন করার অনুমতি দিয়েছে। তবে এতে খুশি নন ওষুধ প্রস্তুতকারীরা। তাঁদের দাবি, কাঁচামালের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে ওষুধের দাম অন্তত ২০ শতাংশ বাড়াতে হবে। জানা যাচ্ছে সাধারণ বেদনানাশক, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিইনফেক্টিভ, হার্টের ওষুধ সহ দাম বাড়তে পারে প্যারাসিট্যামলেরও।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির জন্যেই ওষুধের আমদানিতে প্রভাব পড়েছে। এদিকে কার্ডিও ভাস্কুলার, ডায়াবেটিস, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফেকটিভ এবং ভিটামিন উৎপাদন করার জন্য বেশিরভাগ উপাদানগুলিই চিন (China) থেকে আমদানি করা হয়। তবে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের আবহে চিন হু হু করে এই কাঁচামালগুলির দাম বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে ভারত বিদেশে যে সব কাঁচামাল সরবরাহ করে, তার দাম কমিয়ে দিয়েছে চিন। কাজেই সব দিকেই সমস্যার মুখে ভারত।