বিজেপি (BJP) নেত্রী ও টিকটক ষ্টার সোনালি ফোগটের (Sonali Phogat) মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আরও গভীর হচ্ছে সোনালি ফোগটের মৃত্যুর কেস। প্রাথমিকভাবে হার্ট অ্যাটাক বলে মনে করা হলেও, সোনালির পরিবার তাঁর সহযোগী সুধীরের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করে। অনুমান, সুধীর জোর করে সোনালি ফোগটকে একটি পানীয় দিয়েছিলেন যেখানে ড্রাগ (Drug) মেশানো ছিল। এবং অতিরিক্ত ড্রাগ নেওয়ার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।

এই মামলায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে সোনালির দুই সহযোগী, সুধীর সাংওয়ান এবং সুখবিন্দর সিংহ। দুই আসামিকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। জানা গিয়েছে, এই মামলায় চতুর্থতম গ্রেফতার এক মাদক ব্যবসায়ী। এবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গোয়ার আইজিপি জানিয়েছেন, "যত তাড়াতাড়ি কেসে নতুন কিছু জানা যাবে, আমরা আপনাদের জানাব। আমরা একজন মাদক ব্যবসায়ীকেও আটক করেছি। যে ক্লাবে এটি সরবরাহ করা হয়েছিল, তার মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সোমবার উত্তর গোয়ার একটি হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয় সোনালিকে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলেছিল যে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তবে মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা অন্য দিকে মোড় নেয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মেলে। ভোঁতা, ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করলে যেরকম চিহ্ন তৈরি হতে পারে, তেমনই চিহ্ন মিলেছে প্রয়াত নেত্রী-অভিনেত্রীর শরীরে। এর পরই খুনের ধারা যুক্ত করে পুলিশ।