সপ্তাহ শুরু হয়েছিল সাত হাজার সংক্রমণ দিয়ে, আর সপ্তাহ শেষ হচ্ছে সাত হাজারের বেশি সংক্রমিত মানুষকে নিয়ে। অর্থাৎ মাত্র এক সপ্তাহে দেশের দৈনিক করোনাক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২০ হাজার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৭ হাজার ৫৫৩ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ৫ হাজার বেশি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন সক্রিয় রোগী ১ লক্ষ ২২ হাজার ৮০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২২৯ জন। উদ্বেগ বাড়িয়ে গত ২৪ ঘন্টায় করোনার অ্যাক্টিভ কেস বেড়ে ১৮ হাজার ২০ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮৪ জন। এখনও পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ টিকা পেয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫২৫ জন। শুধু দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্ত ৩৫১ জন। মহারাষ্ট্রে করোনার নয়া স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬০ জন। দেশে মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৪৫ কোটি ৪৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৫ জনের। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে হারে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, আর ওমিক্রন (Omicron) যেভাবে ডেল্টাকে ছাপিয়ে ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী করোনার স্ট্রেনে পরিণত হচ্ছে, তা রুখতে লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে সরকারকে।
যদিও লকডাউনের পথে যেতে নারাজ নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। গতকাল প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি (PM-KISAN Scheme) কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত ছিল, লকডাউনের পথে হেঁটে আর্থিক বৃদ্ধিকে ফের স্লথ করে দিতে চান না তিনি। তাঁর কথায়, "ভারত সবরকম সাবধানতা বজায় রেখে, সতর্কতার সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়বে এবং জাতীয় স্বার্থও পূরণ করবে।"