ফের অমানবিক আচরণ যোগীরাজ্যে। অষ্টম শ্রেণি ফেল, পাশ করেনি ডাক্তারির কোনো পরীক্ষা। নেই নূন্যতম ডাক্তারির কোনো শিক্ষা, তবুও হাসপাতালের সন্তান প্রসবের দায়িত্বে আছেন তিনিই। আর এতেই এক প্রসূতি ও তাঁর সদ্যোজাত সন্তান, দু’জনেরই মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশে।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই যুবক ও অবৈধ হাসপাতালটির মালিককে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মা সারদা নামের ওই হাসপাতালটি অবৈধ। সেখানে যারা কাজ করে সকলেরই কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এমনকি নার্সদেরও নেই কোনো প্রশিক্ষণ। টাকা আদায়ের চক্করে এমনই অবৈধ হাসপাতালের ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল অভিযুক্ত রাজেশ সাহানি। সেখানকার অন্যতম কর্মী অভিযুক্ত রাজেন্দ্র শুক্লা।
জানা যায়, এই হাসপাতালেই প্রসবের জন্য আসেন এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। এরপরেই সি সেকশন পদ্ধতিতে প্রসব করাতে গিয়ে দাড়ি কামানোর ব্লেড ব্যবহার করে অভিযুক্ত রাজেন্দ্র। সাথেই সাথেই ঝরতে থাকে রক্ত, রক্তক্ষরণ বাড়তে থাকায় অভিযুক্ত রাজেন্দ্র বুঝতে পারে পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এরপরেই ওই অন্ত:সত্বা মহিলাকে ট্রান্সফার করা হয় লখনউয়ের হাসপাতালে। এরপরেই প্রয়াত হন ওই অন্ত:সত্বা এবং সদ্যজাত।
স্ত্রীর মৃত্যুর পরেই তাঁর স্বামী দ্রুত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই পুলিশ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেন দুই অভিযুক্তকে। এই ধরনের হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যেই মুখ্য মেডিক্যাল অফিসারের কাছে চিঠি লিখেছে পুলিশ। তবে যোগীরাজ্যে কীভাবে রমরমিয়ে চলছে এমন অবৈধ হাসপাতাল! প্রশ্নের মুখে যোগীরাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা।