দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ছটপুজা। যদিও জলাশতে নেমে সূর্যদেবতার পুজোর প্রথম দিনেই দূষণের চেনা চিত্র ধরা পড়ল যমুনা নদীতে। দেখা গেল, বিষাক্ত ফোমের পুরু আস্তরণে ঢাকা যমুনা নদীতে নেমেই চলছে পুজার নিয়ম-আচার পালন। দূষিত জলে ডুবও দিতে দেখা গেল অনেক পুন্যার্থীদের।
ঘটনাস্থল, দিল্লির কালিন্দী কুঞ্জের নিকটে যমুনা নদীর তট। ছট পুজা শুরুর অন্যতম রীতি ‘নাহায় খায়’। এই রীতি অনুযায়ী পুন্যার্থীরা জলাশয়ে চান করে পরিচ্ছন্ন বস্ত্র পরিধান করেন এবং সূর্যদেবতার জন্য ‘চানা ডাল’, ‘কাদ্দু (কুমড়ো) ভাত’-এর মতো প্রসাদ তৈরি করেন। তবে রীতির প্রথম ধাপ অর্থাৎ চান করার সময়ই দূষণের সম্মুখীন তাঁরা।
উল্লেখ্য, যমুনার জলে দূষণের কথা মাথায় রেখে এবছর ছট পুজায় যমুনায় নেমে স্নান করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দিল্লি ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ডিডিএমএ)। তবে নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফোম ভাসা যমুনার জলেই চলল দেদার ‘পুন্য’ স্নান।
এবিষয়ে বলে রাখা ভাল, যমুনার জলে বিষাক্ত ফোম ভাসার ঘটনা নতুন কিছু নয়। শিল্পাঞ্চল এলাকার একাধিক কল-কারখানা এবং বাড়তে থাকা জনবসতির দৌলতে বেশ কয়েকবছর ধরেই যমুনার জলে জল্মছে বিষাক্ত ফোম। নদীর জলে অ্যামোনিয়ার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দিল্লিতে পানীয় জলের সরবরাহতেও ব্যাঘাত ঘটেছে ইদানীংকালে। লকডাউনের প্রথমদিকে শিল্পাঞ্চল বন্ধ থাকায় নদী তার পুরনো রুপ ফিরে পেলেও তা ছিল ক্ষণিকের জন্য। জনজীবন স্বাভাবিক হতেই পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে যমুনার দূষণ।