স্বাধীনতা দিবস এবং পতাকা বিভ্রাট যেন একে অপরের পরিপূরক। প্রতি বছরেই অন্তত তেমনটা দেখে আসছে দেশবাসী। কোথাও পতাকা তুলতে গিয়ে খুলে যায় তো কোথাও উল্টো পতাকাই উড়তে থাকে আকাশে। তবে এখানে পতাকা খুলেও পড়ে যায়নি বা উল্টো হয়েও ওড়েনি। শুধু ‘দেশের সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক’ রাজনৈতিক দলের পতাকার তলায় ঠাঁই হয়েছে তার। আর তাতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের আগার-এ। এদিন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে একটি ভিডিও আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যাচ্ছিল, একটি বিজেপির পার্টি অফিসে দেশের পতাকারও উপরে উড়ছে বিজেপির দলীয় পতাকা। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়তেই চারিদিক থেকে ধেয়ে আসে তির্যক মন্তব্য। যদিও, ঘটনাটি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অজুহাত, পার্টি অফিসের মাথায় দলীয় পতাকাটি অনেক আগে থেকেই ছিল। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে, এদিন তিরঙ্গাটি এক তলা নিচুতে উত্তোলন করা হয়। তাঁরা আরও বলেন, বাকি দলীয় পতাকাগুলি তেরঙ্গার নিচেই ছিল।
ঘটনাটি প্রথমে সেখানকার স্থানীয় সাংবাদিকদের নজরে পড়ে। তবে এই ঘটনা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন শুরু করলে সেখানকার বিজেপি নেতা তাঁদের প্রশ্নকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি সেখানকার বিজেপি জেলা সভাপতি গোবিন্দ সিং বারখেডি প্রশ্নকারী সাংবাদিককে ‘তাঁর নজরে’ রাখার হুমকি পর্যন্ত দেন। কিন্তু এরপরই সাংবাদিকটি পতাকার সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন। যার উত্তর দিতে না পেরে সেখান থেকে চম্পট দেন বিজেপি-র ঐ নেতা। তাঁদের সমস্ত কার্যকলাপ ধরা পড়েছে ভাইরাল ভিডিওটিতে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি-কে খোঁচা দিতে ছাড়েনি কংগ্রেস। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগারের কংগ্রেস এমএলএ বিপিন ওয়াংখেরে বলেছেন, বিজেপি সবসময়ই নিজেদের দেশের উপরেই ভেবেছে। এই ঘটনা তারই নমুনা। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, উক্ত বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে কংগ্রেস থানায় অভিযোগও দায়ের করবে।