দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ ঘিরে এখনও জল্পনার শেষ নেই। নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে বড়সড় কোন গভীর ষড়যন্ত্র আছে - এ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এর মধ্যেই বুধবার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) দফতরে। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার রিপোর্ট পেশ করার সময় ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার এবং সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মানবেন্দ্র সিং উপস্থিত ছিলেন৷ প্রায় মিনিট ৪৫-এর বৈঠকে জমা পড়েছে তদন্তের খুঁটিনাটি তথ্য।
সূত্রের খবর, তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চালকের অসতর্কতার কারণেই নাকি এই দুর্ঘটনা। যদিও সরকারিভাবে এখনও কোন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি, তবে ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য মেঘের আড়ালে ঢুকে ফেলেছিল কপ্টারটি। যার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। রিপোর্ট অনুযায়ী, কপ্টারের কোন যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। একটি রেললাইন ধরে উড়তে গিয়ে মেঘের মধ্যে হারিয়ে যায় কপ্টারটি, আর অনেকটাই নীচে নেমে আসে। যা কপ্টার চালানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপজ্জনক। এমন অবস্থায় পাইলটের অসতর্কতার কারণেই এমন বিপত্তির কথা বলছেন একাংশ। এমনকী পরবর্তীতে এমন গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন মনে করছেন একাংশ। নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন ছাড়া সফর একদমই নয়, বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসের ৮ তারিখ ঘটে ভয়াবহ সেই কপ্টার দুর্ঘটনা। তামিলনাড়ুর কন্নুর এলাকার কাছেই ঘটে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত-সহ ১৩ জনের দুর্ঘটনার দিনেই মৃত্যু হয়। গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে গেলেও সপ্তাহ না ঘুরতেই তিনিও মারা যান। গোটা ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন ভারতের অগণিত মানুষ। শুরু হয় সেই কপ্টার দুর্ঘটনার তদন্ত। সেনার বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা এই দুর্ঘটনার তদন্ত করেন বলে খবর। আর এই তদন্তেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোন ষড়যন্ত্র কিংবা যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, বরং পাইলটের অসতর্কতার কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যদিও সরকারিভাবে এই রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে আসেনি, তা-ও সূত্র মারফত এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।