অনেকটাই সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো! কিন্তু এটা সিনেমা নয়। বাস্তবে ঘটে গেল এমনই বীভৎস ঘটনাটি। এক ১৩ বছরের নাবালিকাকে গত ৮ মাস ধরে অন্তত ৮০ জনের দ্বারা গণধর্ষণের (Gang Raped) ঘটনা। এমন মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনায় হতবাক পুলিশ ও প্রশাসন।
ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) গুন্টুর জেলার। ঠিক কী ঘটেছিল? করোনায় মেয়েটির মা মারা যান। তারপরেই একজন মহিলা দত্তক নেয় তাকে। কিন্তু সেই মহিলার যে অন্য উদ্দেশ্য ছিল কেই-বা তা জানত! পুলিশ সূত্রে খবর, দত্তক নেওয়ার পর সেই মেয়েটিকে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তির কাজে লাগায় সেই মহিলা। গত আট মাসে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত ৮০ জনের কাছে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে সেই নাবালিকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর জুন মাস নাগাদ করোনায় সেই নাবালিকার মায়ের মৃত্যু হলে স্বর্ণ কুমারী নামের এক মহিলা তাকে দত্তক নেয়। গোটা বিষয়টি নাকি তার বাবা জানতেন না। গত বছর অগাস্ট মাসে নাবালিকার বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হন। আর তারপর থেকেই খোঁজ শুরু হয় সেই নাবালিকার। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে আসে একাধিক তথ্য। জানা যায়, ধৃত স্বর্ণ কুমারী নামের সেই মহিলা নারী পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। নাবালিকার অসহায়তার সুযোগ নিয়ে তাকে প্রথমে দত্তক নেয়, তারপর তাকে বাধ্য করে পতিতাবৃত্তির কাজ করাতে।
ইতিমধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল মাথা স্বর্ণ কুমারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বি.টেক ছাত্রও আছে। একজন অভিযুক্ত আবার এই মুহূর্তে নাকি লন্ডনে আছে। বাকিদের গ্রেফতার করতে দ্রুত তল্লাশি অভিযান চলছে। অপহৃতা নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।