উত্তরাখণ্ডে কাজের সময় ২০১৯ সালে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কাঁধ। অনেক খরচের পর কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরেই ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশজুড়ে লকডাউন। এদিকে দেনার দায়, অপর দিকে হাতে কাজ নেই। বাড়ি ফিরে এসে নিজের বাবার সঙ্গে এক ফ্যাক্টরিতে কাজের চেষ্টা, যদিও লকডাউনের কারণে ফের কর্মহীন। দীর্ঘদিন অভাব-অনটনে সংসার সামলাতে না পেরে নিজেদের ৯ বছরের মেয়ে-সহ অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক দম্পতি।
ঘটনাটি আগ্রার। আগ্রার আওয়াস বিকাশ কলোনিতে ঘটনাটি ঘটেছে। এই কলোনিতে থাকতেন সোনু শর্মা নামে বছর ৩৫-র এক ব্যক্তি। সঙ্গে স্ত্রী গীতা, ছেলে শ্যাম এবং মেয়ে সৃষ্টি। সোনু শর্মা উত্তরাখণ্ডে কাজ করতেন। এক দুর্ঘটনায় তাঁর কাঁধ নষ্ট হয়। পরিবার-সহ ঘরে ফিরে আসেন। অনেক কাজের চেষ্টা করেন। মানসিক যন্ত্রণা এতটাই তীব্র ছিল যে ধীরে ধীরে কাজ করার মানসিকতা হারিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা।
ঘটনার পর সোনু শর্মার বাবা বলেছেন, সোনু আর কাজ করতে চাইত না। ফ্যাক্টরিতে গিয়ে অন্যান্য কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে উঠতেন। বেশ কয়েকবার সতর্ক করেও কোন লাভ হয়নি। ধীরে ধীরে অফিস যাওয়া দূরে থাকুক, কোন কাজই করতে চাইতো না সোনু। তবে এমন পরিণতি হবে কেউ কল্পনাও করেননি।
বেশ কয়েকদিন ধরেই নাকি ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। ঘটনার দিন ছেলেকে বাইরে পাঠিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলে পড়ে কন্যা-সহ দম্পতি। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। যেখানে আর্থিক সমস্যার কথা লেখা আছে স্পষ্ট। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুইসাইড নোট পাওয়া গেলেও পুলিশ গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে।