সম্প্রতি তেলেঙ্গানার একটি জাল পাসপোর্ট চক্রের পর্দা ফাঁস করল সাইবেরাবাদ পুলিশ। ওই চক্রের ৮ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে চারজন হলেন বাংলাদেশের নাগরিক এবং দুইজন পশ্চিমবঙ্গের। জাল ডকুমেন্ট এবং ঠিকানা ব্যবহার করে তেলেঙ্গানার বোধন টাউন এলাকা থেকে এই পাসপোর্ট গুলি তৈরি করা হতো। তেলেঙ্গানা পুলিশের দুজন এসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন। এখনো পর্যন্ত তিন জন পলাতক রয়েছেন। সাইবেরাবাদ পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানার জানিয়েছেন, তারা ঘটনাস্থল থেকে ৭২টি পাসপোর্ট উদ্ধার করেছেন। ইতিমধ্যেই ১৯ জন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন এবং বাকি ৪৯ জনের এখনো খোঁজ মেলেনি।
ধৃতদের মধ্যে একজন হলেন পরিমল বাইন যিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা। তিনি গত ২০১৩ সালে ভারতে প্রবেশ করেন এবং তেলেঙ্গানার নিজামাবাদ জেলার বোধন টাউনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে হায়দ্রাবাদ এয়ারপোর্ট পুলিশ রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এর ইমিগ্রেশন অফিসারের থেকে একটি অভিযোগ পান। ওই অভিযোগে লেখা ছিল, গত ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে বাংলাদেশের তিনজন বাসিন্দা - সঞ্জীব দত্ত, রামু দাস এবং মন্ডল সন্দীপ জাল পাসপোর্ট নিয়ে দুবাইয়ের জন্য রওনা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
প্রোফাইলিং এর সময় তারা জানিয়েছিলেন, তারা তেলেঙ্গানার নিজামাবাদ জেলার বোধন টাউনে বসবাস করতেন। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা সাহানাজ পাইল ওরফে সবুজ তাদের জাল আধার কার্ড বের করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করতে সাহায্য করেছিলেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তারপরে তেলেঙ্গানার সাইবেরাবাদ পুলিশ ওই জাল পাসপোর্ট চক্রের পর্দা ফাঁস করে। উল্লেখ্য, তেলেঙ্গানার কাছে একটি অতি উন্নত মানের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর ক্রিমিনাল রেকোগ্নিশন সিস্টেম রয়েছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ৩১৪ টি পাসপোর্ট ইতিমধ্যেই দুই বছরে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।