এবারে বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন লংঘন করার জন্য আর্থিক প্রতারণার মামলায় জড়িয়ে পড়লেন ফ্লিপকার্ট এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা সচিন বন্সাল। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তিনি ফ্লিপকার্ট এর সদস্য থাকলেও বর্তমানে এই সংজ্ঞাটা কিছুটা পাল্টেছে। বর্তমানে সচিন বন্সাল ফ্লিপকার্টে নিজের শেয়ার ওয়ালমার্টের হাতে বিক্রি করে ফ্লিপকার্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও আবারো বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের জন্য ১৩৫ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানার দন্ডে অভিযুক্ত সচিন বন্সাল এবং আরো অনেকে। ইতিমধ্যেই এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর তরফ থেকে সচিন বন্সাল কে একটি শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছে। ফ্লিপকার্টে বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট বিদেশি বিনিয়োগ এবং ডাবলু এস রিটেল নামের একটি সম্পর্কিত সংস্থাকে টেনে এনেছে।
এরপরে আরো অভিযোগ, নিজেদের ওয়েবসাইট থেকে ক্রেতাদের সেই সমস্ত সামগ্রী বিক্রি করছে ফ্লিপকার্ট কর্তৃপক্ষ যা বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইনের সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। অন্যদিকে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর দক্ষিণ ভারতের চেন্নাইয়ে কার্যালয় থেকে ফ্লিপকার্ট ই-কমার্স সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন চেয়ারপারসন সচিন বন্সাল, বিনি বংশাল এবং বিনিয়োগকারী টাইগার গ্লোবালকে শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছে। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে, ফ্লিপকার্ট কে কেন ১৩৫ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা ধার্য করা হবে না?
কিন্তু সেখানেই আবার নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন সচিন বন্সাল। ইতিমধ্যেই তিনি ইডির বিরুদ্ধে কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর একটি স্থানীয় আদালতে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর ওই আইনি নোটিশ এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সচিন বন্সাল। ইতিমধ্যেই ওই মামলার বিচারপতি আর মহাদেবন ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা কে উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও ফ্লিপকার্টের তরফ থেকে এর আগেও দাবি করা হয়েছিল, সমস্ত কিছু করা হচ্ছে ভারতের বৈদেশিক নীতি নির্দেশ সম্পূর্ণ রূপে পালন করে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছিল, ফ্লিপকার্ট এর তরফ থেকে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা কে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য করা হবে। কিন্তু তারপরেও সচিন বন্সালের মামলা দায়ের করার কারণে ঘটনায় গতিপ্রকৃতি পুরোপুরি ঘুরে গেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।