চীনের উপকূল রক্ষী বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নয়া আইন, আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ফের সাগরে শি জিন পিং সরকার
চীনের এই নয়া আইন বলবৎ হলে এশিয়া মহাদেশের ক্ষমতার সমীকরণ বদলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে
উপকূল রক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়াতে নয় আইন তৈরি করে বিতর্ক উসকে দিল চীন। এশিয়া মহাদেশের প্রধান শক্তিধর দেশ চীন ক্ষমতার আগ্রাসনে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক একাংশ। তাঁদের দাবি উপকূল রক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শি জিন পিং সরকার আসলে ঠান্ডা যুদ্ধের আর এক ধাপ এগিয়ে গেল। বিশ্বের কাছে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধির নমুনা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে নতুন এক সমীকরণ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার উপকূল রক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নয়া আইন প্রণয়ন করেছে চীন। এই আইন বলবৎ হলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় চীনের উপকূল রক্ষী বাহিনী সহজে বিদেশি জাহাজ বা নৌকাগুলোকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতে পারবে। এমন অবস্থায় আন্তর্জাতিক মহল আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এমন আইন চীনে লাগু হলে চীনের উপকূল রক্ষী বাহিনী আগ্রাসী হয়ে উঠবে। যা বিশ্বের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে চলেছে। বিশেষত জাপানের সেনকাকু দ্বীপকে চীন বরাবর নিজেদের বলে দাবি করে এসেছে। এই আইন বলবৎ হলে এই উপকূল অঞ্চলেও চীনের উপকূল রক্ষী বাহিনী চোখ রাঙাতে পারবে বলে মনে করছেন একাংশ।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারীতে চীনের জলসীমায় কোন বিদেশী জাহাজ প্রবেশ করলে উপকূল রক্ষী বাহিনী সরাসরি হামলা চালানোর অধিকার দেওয়া হয়েছিল। চীনের এই আগ্রাসী মনোভাবের কথা চিন্তা করে গত মার্চে আমেরিকা ও জাপানের উপকূল রক্ষা বিষয়ে বিশেষ মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চীন এই বিশেষ আইন বলবৎ করতে চলেছে বলে মনে করছেন একাংশ।