জরুরী দ্রব্যের আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের ভরসা এখনো সেই চীন
তবে ভারত বর্তমানে এই আমদানির পরিমাণ কমানোর জন্য চেষ্টা করছে প্রাণপণ
এখনো পর্যন্ত ভারতের জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্যাদি রপ্তানি হয় চীন থেকে। ফার্মাসিউটিক্যাল এর জিনিস থেকে শুরু করে মোবাইলের কম্পনেন্ট সবকিছুই কিন্তু চীন থেকে সবথেকে বেশি পাওয়া যায়। তাই বর্তমানে ভারত প্রচেষ্টা করছে যাতে চীনের নির্ভরশীলতা আরো বেশি কমানো সম্ভব হয়। "বর্তমানে আমরা চীনের উপরে অত্যন্ত বেশি নির্ভরশীল। ভারতের বহু এমন জিনিস রয়েছে যেগুলো সরাসরি চীন থেকে আমদানি হয়। একটি মোবাইল ফোনের ৮৫% জিনিস আসে চীন থেকে। চীন যদি কখনো পেনিসিলিন এর মতো ওষুধ রপ্তানি করা বন্ধ করে দেয় তাহলে কিন্তু আমরা নিজের দেশে এ ধরনের ওষুধ তৈরি করতে পারবোনা। যদি কোন দেশের উপর এত বেশি নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয় তাহলে কিন্তু সমস্যার বিষয়ে আছে।" বললেন কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য দপ্তরের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি সঞ্জয় চাড্ডা।
তবে তিনি জানালেন, ভারত বর্তমানে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য চেষ্টা করে চলেছে। ভারতের নিজস্ব সংস্থাগুলিকে বৃদ্ধি করার জন্য ভারতে প্রোডাকশন লিনক ইনসেনটিভ চালু করা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আমাদের কিছুটা হলেও সাহায্য করেছে চীনের প্রতি নির্ভরশীলতা কমানোর জন্য। গত ২০২০ সালে চীনে প্রোডাকশন বেশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে এত বড় একটি ইকোনমিক ক্ষেত্রে এই লোকসান খুব একটা বেশি না। তিনি আরো জানিয়েছেন, "চীনের দ্রব্যের প্রতি এতটা আসক্তি কিন্তু কাম্য নয়। আমরা নিজেরা চীনের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি।" পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে চীনের দ্রব্য অত্যন্ত বেশি পরিমাণে রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে গত বছরে এই রপ্তানির পরিমাণ ১০.৮% কমে গিয়েছিল। পাশাপাশি স্টিলের রপ্তানির ক্ষেত্রেও এই পরিমাণ গত বছর বেশ কিছুটা কমে ছিল। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া স্টিলের মার্কেট বেশ কিছুটা দখল করতে সক্ষম হয়েছে।