রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার নিন্দা প্রস্তাবে ভোট দিল না ভারত
ভারতের মতোই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভোট দিল না চিনও, বাড়াল উত্তেজনা
রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ভারত কোন পক্ষে যায়, সেদিকে নজর ছিল সব মহলের। এদিকে রাষ্ট্রসংঘের (UN) নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনে আমেরিকা। সেই প্রস্তাবে ভারত ভোট না দিয়ে কার্যত রাশিয়ার পাশে দাঁড়াল বলাই বাহুল্য। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিন চিনও আমেরিকার পক্ষে ভোট দিল না। আমেরিকার নিন্দা প্রস্তাবে জার্মানি, ইতালি-সহ এগারোটি দেশ সম্মতি জানালেও এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশ ভারত ও চিন এই প্রস্তাবে সায় দেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সঙ্গ ছাড়তে ভারত যে নারাজ, তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘে ভারত ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে। আর তার কারণ হিসেবে রাষ্ট্রসংঘের ভারতের প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, "ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারত যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি যাই থাকুক, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার কোন রাস্তা থাকলে তাই আশু প্রয়োজন। এখনই হিংসা, হানাহানি বন্ধ হওয়া উচিত। যুদ্ধ নয়, কূটনৈতিক উপায়ে দু'পক্ষের সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। সব দিক বিবেচনা করে ভারত এই নিন্দা প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকল।"
রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ইউক্রেন ভারতের সমর্থন চেয়েছিল। ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তেমন আর্জি জানিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান কী হয় সেদিকে তাকিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। ভারত কোন পক্ষকে সমর্থন জানাবে তার উপর নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক রাজনীতির সমীকরণ। আর রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকার আনা নিন্দা প্রস্তাবে ভারত ভোট না দিয়ে কার্যত রাশিয়াকেই কূটনৈতিক ভাবে সমর্থন জানাল, বলাই বাহুল্য।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব এনেছিল আমেরিকা এবং আলবেনিয়া। এছাড়াও কয়েকটি দেশের পরোক্ষে মদত ছিল। অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, পোল্যান্ড, লিথুনিয়া, নিউজিল্যান্ড, রোমানিয়া, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ এই প্রস্তাবে সায় দেয়। আর নিরাপত্তা পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের দেশ রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স। রাশিয়া নিজে ভেটো প্রয়োগ করতেই এই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে আমেরিকা বারবার কড়া জবাব দিয়েছে। এবার হয়তো আরও কড়া সিদ্ধান্তের দিকে হাঁটতে পারে আমেরিকা।