পাকিস্তানে হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ, ধর্মান্তরিতকরণের পর জোর করে বিয়ের অভিযোগ
পাকিস্তানের বুকে ফের বর্বরতার দৃশ্য, সংখ্যালঘু হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণের পর জোর করে ধর্মান্তরিতকরণের ঘটনা
পাকিস্তানের বুকে ফের বর্বরতার চিত্র। সংখ্যালঘু হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণের পর জোর করে বিয়ের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের। সেদেশের সংবাদমাধ্যম 'দ্য ডন' সূত্রে এমনই চাঞ্চল্যকর খবর।
নাবালিকার নাম শ্রীমতী করিনা। সপ্তাহ খানেক আগে সিন্ধু প্রদেশের উন্নার মহল্লা থেকে আচমকাই অপহরণের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, অপহরণের পর প্রথমে তাঁকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়। তারপর বিয়ের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হিন্দু কমিউনিটি প্রতিবাদ করেছে। সিন্ধু প্রদেশের হিন্দু কমিউনিটি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন। তাঁদের দাবি, অপহরণের পর জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।
যদিও সেদেশের পুলিশ সূত্রে রিপোর্ট, নাবালিকার সঙ্গে এক মুসলিম ছেলের সম্পর্ক ছিল। নাবালিকা নিজের ইচ্ছায় গিয়েছে। এমনকী করাচি আদালতে তাঁরা নাকি বিবাহ করেছেন। যদিও একথা মানতে নারাজ সিন্ধু প্রদেশের হিন্দু কমিউনিটি। তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পুলিশের যোগসাজশে এমন ঘটনা ঘটছে বলে দাবি উঠেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে পাকিস্তানের (Pakistan) বুকে ঘটেছিল এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা। অপহরণের চেষ্টা ব্যর্থ হতেই গুলি করে মারা হয়েছিল এক হিন্দু মহিলাকে। ঘটনাটি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশেই ঘটেছিল (Sindh Province)। পাকিস্তানের সুক্কুর শহরের রোহী এলাকায় প্রকাশ্য রাস্তায় এমন মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল গোটা বিশ্ব। অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে গিয়ে চিৎকার করতেই নাকি তাঁকে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল। মৃতা কিশোরীর নাম ছিল পূজা ওউদ (Pooja Oad)।
পাকিস্তানের বুকে এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার এমন চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে এর আগেও বহুবার সংখ্যালঘু হিন্দু (Minorities Hindu) মহিলাদের ধর্মান্তরিতকরণের ঘটনা ঘটেছে। দ্য পিপলস কমিশন ফর মাইনোরিটিস রাইটস অ্যান্ড দ্য সেন্টার ফর সোশ্যাল জাস্টিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে অন্তত ১৫৬ টি এমন ঘটনা ঘটেছে। যেখানে জোর করে সংখ্যালঘুদের অপহরণের পর ধর্মান্তরিতকরণের চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে বিবাহের পর ধর্মান্তরিতকরণ করা হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মাধ্যমে সেই রিপোর্ট মাঝে মাঝেই দেখা যায়।