চীনে দ্রুতগতিতে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, একাধিক শহরে লকডাউনে ৩ কোটি মানুষ
মঙ্গলবার চীনে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৫,২৮০ জন
ড্রাগনের দেশে (China) আবারও রকেটের গতিতে বাড়ছে করোনা (Covid-19) সংক্রমণের সংখ্যা। যার জেরে ছোটো-বড়ো মিলিয়ে দেশের একাধিক শহরে ফের লকডাউনের (lockdown) পথে হেঁটেছে চীন সরকার। মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সে দেশে গৃহবন্দি হয়েছেন প্রায় তিন কোটি মানুষ।
মঙ্গলবার চীনে নতুন করে ৫,২৮০ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, যা গতকালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। উল্লেখ্য,করোনার ওমিক্রন (omicron) ভ্যারিয়েন্টের আরো ছোঁয়াচে প্রকার দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে। সে জন্যই আবারো ‘জিরো-কোভিড’ (zero-covid) স্ট্র্যাটেজি গ্রহন করেছে চীন সরকার।
কোভিড-১৯-এর বাড়বাড়ন্তের জেরে প্রায় দু'বছরের জন্য সমগ্র দুনিয়ার থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়েছিল চীন। তবে তা সত্ত্বেও রোখা যায়নি করোনাকে। আগের থেকেও মারাত্মক আকার নিয়ে ফিরে এসেছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট।
জানা গিয়েছে, অন্ততপক্ষে ১৩ টি চীনা শহরে জারি করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন। এছাড়াও আরো বেশ কিছু শহরে আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে। চীনা প্রদেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তর-পূর্বের জিলিন প্রদেশের। শুধুমাত্র মঙ্গলবারেই সেখানে তিন হাজার জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এছাড়াও ছাংচুন, শেনজেন-সহ একাধিক বড়ো শহরে জারি হয়েছে লকডাউন। কোথাও তিনদিনের তো কোথাও অনির্দিষ্টকালের জন্য। এরইমধ্যে শেনজেন শহরে ধরা পড়েছে ২০১৯ সালের প্রতিচ্ছবি। সেখানে বন্ধ হয়েছে কারখানা, স্থানীয় সুপারমার্কেটের তাকগুলিতে সামগ্রীর অভাব স্পষ্ট।
চীনে করোনা ফের মাথাচাড়া দেওয়ায় সেদেশের অর্থনীতিও যে প্রভাবিত হতে পারে, তেমনটাই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। চলতি অর্থবছরে সে দেশের জিডিপি ৫.৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সে লক্ষ্য কতটা পূরন হবে, তার নিয়ে দোলাচলে অর্থনীতিবিদরা।