করোনা রুখতে জোর তৎপরতা, বাংলাদেশে এলো বিপুল সংখ্যক করোনা টিকার ডোজ

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 04/07/2021   শেষ আপডেট: 04/07/2021 7:33 a.m.
-

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই তাদের টিকা মডার্না এর বেশকিছু ডোজ বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে

করোনা ভাইরাসের কারণে ইতিমধ্যেই একেবারে নাজেহাল অবস্থা বাংলাদেশের। ইতিমধ্যেই সেখানে ছড়িয়ে পড়া শুরু করেছে ডেল্টা স্ট্রেন এবং এই স্ট্রেন অত্যন্ত বেশি সংক্রামক এবং অনেক বেশি মানুষ এই স্ট্রেন এর কারণে আক্রান্ত হতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণকে রক্ষা করতে দেশজুড়ে এবারে কঠোর লকডাউন চালু করেছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু তার পরেও বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি খুব একটা সহজে নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে এবারে বাংলাদেশ এল ২৫ লক্ষ টিকা ডোজ। শনিবার বিশেষ বিমানে আমেরিকা থেকে মডার্ণা তৈরী টিকা পৌঁছলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এদিন বাংলাদেশ পৌঁছলো ১২ লক্ষ্য টিকার ডোজ। তার আগে শুক্রবার রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া ১৩ লক্ষ টিকা এসেছিল বাংলাদেশে।

এছাড়া গতকাল রাতে চীনের কাছ থেকে কেনা ১১ লক্ষ টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন, "ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১০ কোটি টাকা বাংলাদেশে আসতে চলেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পাঁচ কোটি জনসংখ্যা কে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি এই টিকাকরণ কর্মসূচি শেষ করতে চাইছি।" করোনাভাইরাস এর এই ডেল্টা স্ট্রেনের জন্য বাংলাদেশে লাগামছাড়া হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাস। গত এক সপ্তাহ ধরে গড়ে প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে ১০০ জনের বেশি করোনা রোগীর। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দেশজুড়ে লকডাউন ঢাকা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।

গত ১ জুলাই থেকে আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতি সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। যদি বিনা কারণে কেউ বাড়ির বাইরে বের হন তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এছাড়াও লকডাউনে সকাল আটটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবারের দোকান এবং রেস্তোরাঁ খোলা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু তাতেও খুব একটা সহজে নিয়ন্ত্রনে আনা যাচ্ছিল না করোনাভাইরাস। তার মধ্যেই এবারে বাংলাদেশে এসে পৌছালো বেশ কয়েকটি টিকার ডোজ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশে তাঁদের প্রকল্প কো ভ্যাক্স এর মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান করা শুরু করেছে। আর এই নতুন প্রকল্পের কারণেই এই টিকা গ্রহণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ।