তিলোত্তমার বুকে ফের "মুঘল দরবার"
ইতিহাসকে আবারও জীবন্ত করে তোলার ইচ্ছে নিয়ে সাবর্ণ পরিবার পরিষদ ও সাবর্ণ সংগ্রহশালা আয়োজন করল "দেওয়ান - ই - আম", অনুষ্ঠানে হাজির বাদশা বাবরের ২৭তম বংশধর শ্রী মমতাজ হোসেন চৌধুরী
সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার তিলোত্তমার বুকে একের পর এক চমক দিয়ে চলেছে। ইতিহাসের পাতা থেকে এবার বাস্তবের মাটিতে হাজির করলেন তাঁরা "মুঘল দরবার"কে। দেওয়ান- ই - আমের ধাঁচেই এই দরবার উপস্থাপিত হল গত রবিবার বেহালার বরিষায়।
আম জনতার দরবার এবার কল্লোলিনীর বুকে। মুঘল আমলের নানা অজানা অচেনা গল্প, ইতিহাস, ইতিহাসের অন্তরালে থেকে যাওয়া তথ্য, মুঘল আমলের খাওয়া দাওয়া,সেই সময়কার নানা ইতিহাস নিয়ে দরবার জমে উঠেছিল রবিবারের সান্ধ্য বৈঠকে। মুঘল সাম্রাজ্যের বংশধর শ্রী মমতাজ হোসেন চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী মৈত্রেয়ী চৌধুরী এইদিন এই দরবারে উপস্থিত থেকে সেই জানা অজানা ইতিহাসকে তুলে ধরেন আমজনতার সামনে। দরবারে উপস্থিত সাধারণ মানুষের হাজারো কৌতূহল ও কৌতূহল থেকে সৃষ্ট মুঘল সাম্রাজ্যকে ঘিরে হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেন তাঁরা।
সাবর্ণ পরিবার পরিষদের ও সাবর্ণ সংগ্রহশালার কোষাধ্যক্ষ শ্রী সৌরভ রায়চৌধুরীও তাঁর স্বভাবজাত ইতিহাসের প্রতি আগ্রহকে প্রকাশ করতে তাঁদের সঙ্গেই জানা অজানার ইতিহাসের আলোচনায় যোগ দেন এবং একাধিক প্রশ্নের উত্তরে ও অংশগ্রহণ করেন। তাঁর কথাতেই উঠে আসে , "সাবর্ণ পরিবার পরিষদ সর্বদা সত্য ইতিহাসের সন্ধানে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে, এই দরবারের আয়োজন তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। ১৮৫৬ তে লালকেল্লায় দেওয়ান - ই - আম বসেছিল। সেই ইতিহাসকে স্মরণে রেখেই আবার এই উদ্যোগ আমাদের তরফে। মানুষ অনেকসময় বিকৃত ও অসত্য ইতিহাস জানে বা পড়ে, তার জন্যই সত্য ইতিহাসকে তুলে ধরতে এই আলোচনা সভাগুলির প্রয়োজনীয়তা আছে।" একই সুর শোনা গেল বাদশা বাবরের ২৭তম বংশধর শ্রী মমতাজ হোসেন চৌধুরীর কণ্ঠে। তিনি জানান, "ছোটবেলা থেকে নানা ইতিহাস পড়তাম পরিবার কেন্দ্রিক। অনেক কিছু মিলত, অনেক কিছু মিলত না। বাড়িতে বড়রা বলতেন, নাম্বার পাওয়ার জন্য পড় আর সত্য ইতিহাসটা পরিবার থেকেই পেয়ে যাবে।"
আলোচনার মাঝেই সংগীতের সুরে ভরিয়ে তোলেন শ্রী চৌধুরী। এক রবিবারের বৃষ্টি মুখর সন্ধ্যায় তিলোত্তমার বুকে এই দরবার স্মরণীয় করে রাখলো সন্ধ্যাটিকে। আম জনতার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রী দেবর্ষি রায় চৌধুরী।