সুশাসনের লক্ষ্যে বৈঠক হয়েছে, রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতার পর জানালেন ধনখর
তবে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মধ্যে সম্পর্ক যেন আবার কিছুটা ভাল হয়ে গেল। এদিন তারা দুজনে একসাথে বৈঠক করলেন রাজভবনে। ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তার সাথে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর জানিয়েছেন, এই বৈঠকে তারা কথা বলেছেন সুশাসনের লক্ষ্যে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত্রে বোমার আঘাতে আহত রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনকে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন সম্পূর্ণরূপে রাজ্যের সুশাসনের জন্য তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। এই নিয়ে কোনো রকম রাজনৈতিক জলঘোলা যাতে না করা হয় সেই বার্তাও তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে পৈলানের কর্মীসভা থেকে সোজা রাজভবনে চলে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে কি হয়েছে, সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো পর্যন্ত কিছু জানাননি। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার রাত্রিবেলা সাড়ে ৯ টা নাগাদ কলকাতা গামী ট্রেন ধরার জন্য মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মন্ত্রী জাকির হোসেন। সেই সময় তার উপরে অতর্কিতে বোমা দিয়ে হামলা করা হয়। দুর্ঘটনার পরবর্তীতে জাকির হোসেনের গুরুতর চোট লেগেছে। আজকে সকালে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে মন্ত্রীর অস্ত্রোপচার করা হয়। ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে এই মামলার তদন্ত করার জন্য। সাম্প্রতিক পাওয়া খবর অনুযায়ী, মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপরে হামলার ঘটনায় IED এর মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি।