'১৪৪ ধারা ওঠার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ত্রিপুরা যাব’, হুঁশিয়ারি অভিষেকের
ভবানীপুর থেকে একের পর হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
ভোটের বাকি আর কয়েকদিন। আর তাতে খামতি রাখছেন না কেউ। প্রতিটি ওয়ার্ডেই গিয়ে প্রচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীরাও জনসংযোগ করে চলেছেন। তবে আজ ভবানীপুরে যৌথ প্রচার করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় যোগ দিয়ে তবেই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের মোড়ে সভা করবেন দু’জনেই। কাজেই টানটান উত্তেজনায় ফুটছে ভবানীপুর।
এদিনের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, “আমি যাতে ত্রিপুরা ঢুকতে না পারি তাই ১৪৪ ধারা জারি করেছে। দেশের সব থেকে বড় দলের কেন এত ভয়? ১৪৪ ধারা তুললে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমি ত্রিপুরায় যাব।”
অভিষেকের আরও অভিযোগ, যাদের ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল, তাঁরা এখন দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহ-মোদির পাশে বসে আছে। অথচ, তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। এরপরই, হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ক্যামেরার সামনে বলছি ইডি-সিবিআই আমার কাঁচকলা করবে৷ কত নোটিশ পাঠাবে? পাঠান৷"
এরপরেই বিজেপি প্রসঙ্গে অভিষেকের মত, "ওদের উন্নয়ন নিয়ে কোনও কথা নেই। ওরা শুধু ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। বিধানসভা ভোটের আগে বহিরগত নেতাদের পাঠাচ্ছিলেন। তাতে কোনও লাভ হয়নি, মুখ থুবড়ে পড়েছে। এবার এজেন্সি পাঠাচ্ছে। আমাকে ৫ টা চিঠি পাঠিয়েছে। ৫০০ পাঠালেও লাভ নেই। কাগজ শেষ হয়ে যাবে৷ আমাকে ডাকা হয়েছিল। টানা নয় ঘণ্টা তাঁদের প্রশ্নের লিখিত উত্তর দিয়েছি। তাঁদের বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।"
এরপরেই অভিষেক বলেন, "আর যাই করুক না কেন, তৃণমূল কংগ্রেস মেরুদণ্ড বিক্রি করবে না৷ ভয় দেখিয়ে মাথা নত করা যাবে না। আপনি যাই করুন না কেন, সামনের ভোটে তৃণমূল জিতবেই। জীবন দিয়ে দেব, কিন্তু মাথা নোয়াব না। কাপুরুষরা আমাদের হারাতে পারেনি বলে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। ২০২৪-এ বিজেপিকে হারাবই। বাংলায় ২০০ আসন পাব বলেছিলেন মোদি। কিন্তু বাংলায় ৭০ আসন পেয়েই থামতে হয়েছে বিজেপিকে। ইডি-সিবিআই-আয়কর, যা কিছু আছে, ব্যবহার করতে পারেন। আমরা যে যে রাজ্যে যাব, সেখানেই বিজেপিকে হারাব।"