স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে গরমিল হয়েছে ২০০ কোটি টাকার, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা
প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাইনি বলে অভিযোগ উঠেছে
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক ছিল স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। নির্বাচনের আগে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প যে বেশ রমরমিয়ে চলেছিল তা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে মানুষের ভিড় দেখে। কিন্তু এবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হল হাইকোর্টে। অভিযোগ উঠেছে যে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে শাসকদল ১৮৮ কোটি টাকার গরমিল করেছে। সেই জন্য ইতিমধ্যেই ২৩ টি জেলায় বিভিন্ন জোনে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাইনি ৯০ জন। এছাড়া যারা পেয়েছে তাদের মধ্যেও অনেকে হাসপাতালে গিয়ে কোন সুবিধা পাচ্ছে না। এই বিষয়ে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলা করেছেন অজয় প্রসাদ এবং অজয় মান্না নামক দুই ব্যক্তি।
মামলাকারীর দুই ব্যক্তি হাইকোর্টে আবেদন করে জানিয়েছেন, "স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রকল্পে গরমিলের তদন্ত করুন কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগ। সরকার যা তথ্য দিচ্ছে তার সবই মিথ্যে।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে যে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে কোন পরিষেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য রোগীর পরিবারকে নার্সিংহোমে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এছাড়াও বর্তমানে নির্বাচন কমিশন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর নিয়মমতো নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে যায়। সেইমতো এখন বন্ধ রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প।