বিশ্ববাংলা শারদসম্মান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বাংলার সংস্কৃতি, সুব্রত স্মরন মমতার
৪৫০টিরও বেশি ক্লাবকে তুলে দেওয়া হয় বিশ্ববাংলা শারদসম্মান পুরস্কার
সোমবার বিশ্ববাংলা শারদসম্মান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চ থেকেই তাঁর মুখে শোনা গেল বাংলার ঐতিহ্যের কথা, বাংলার সংস্কৃতির কথা। সাথে সদ্য প্রয়াত পঞ্চায়েতমন্ত্রী এবং তৃণমূলের অন্যতম কাণ্ডারি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়ান কেন্দ্র করেও তাঁকে কথা বলতে শোনা যায় এদিন।
বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘বাংলা যে শান্তির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে তা প্রমান করে দিয়েছে, এটা আমাদের জাতীয় উৎসবের সবথেকে বড় ঐতিহ্য। সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উৎসব বাংলার দুর্গোৎসব’। এছাড়াও দুর্গাপূজা এবং কালীপূজায় নিয়ম মেনে ‘মুক্ত মেলায়, খোলা হাওয়ায়’ পুজা করার জন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষগুলিকে বিশেষভাবে প্রশংসা করেন তিনি। সাথে পুজার সময়ও নিজেদের কর্তব্যে অনড় থাকার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান পুলিশ দপ্তর থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দপ্তর, দমকল দপ্তরকে। আগামী দিনের পুজাগুলিতেও বিভিন্ন ক্লাবের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি এদিন।
নিজের বক্তৃতার শেষে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। তিনি বলেন, অসময়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত এভারগ্রিন মানুষের চলে যাওয়া এক বড় ক্ষতি। তাঁর চলে যাওয়া দলের কেউ মেনে নিতে পারছেন না বলেও জানান তিনি। আজকে তাঁর বক্তৃতায় ছিল না অন্যদিনের মত উদ্দীপনা।
তবে আজকেও অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে পেট্রোপন্যের দাম বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন তিনি। সাথে ব্যাঙ্ক, রেল, সেলের মত বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে মানুষজনকে বেকার করে দেওয়া হচ্ছে বলে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। বাংলার প্রতি বঞ্চনার দাবী তুলে এদিনও তিনি বলেন, নিজেদের শাসিত রাজ্যগুলিতে কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। বাংলাকে তারা টিকাই দেয় না, নাকি টাকা দেবে!
এদিন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশান সেন্টারে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলার ৪৫০ টিরও বেশি ক্লাবকে বিশ্ববাংলা শারদসম্মান পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সেই সাথে কলকাতা এবং কলকাতার পাশাপাশি অঞ্চলের ক্লাবগুলির হাতেও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।