স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্বেও যদি রোগী ফেরান তাহলেই বাতিল হবে লাইসেন্স, হুঁশিয়ারি মমতার
স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতালকে সরকারি পরিষেবা গ্রহণ করতে হবে।
এবারে জনসভার আগে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করে দিলেন এবার থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর রোগীকে যদি কোন হাসপাতাল ফিরিয়ে দেয় তাহলে সেই বেসরকারি হাসপাতালে লাইসেন্স ক্যানসেল করে দেয়া হবে। হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম এর জন্য এই নতুন নিয়মাবলী জারি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ক্লিনিক্যাল এস্তব্লিশমেন্ট আইনে বেসরকারী হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমের সরকারি প্রকল্প গ্রহণ করতেই হবে। যদি তা না করা হয় তাহলে কিন্তু তাদের লাইসেন্স ক্যানসেল করে দেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রাজ্যের কাছে রয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০ বা তার বেশি শয্যা বিশিষ্ট নার্সিংহোম কে স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় করে নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্প ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে ঠিক ভোটের আগে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প সবথেকে বেশি জনপ্রিয় প্রকল্পের মধ্যে একটি। কার্ড করানোর জন্য বিভিন্ন এলাকায় লম্বা লাইন আমরা দেখতে পাই। কিন্তু যারা কার্ড করিয়েছেন তাদের একটাই প্রশ্ন। বেসরকারী হাসপাতাল যেভাবে রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে সেভাবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডেও কি রোগী ফিরিয়ে দেওয়া হবে? ইতিমধ্যেই এরকম ঘটনা আমাদের সামনে আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি নার্সিংহোম ঘুরে ঘুরে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এই কারণেই এরকম পরিস্থিতিতে নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।