ভোটের আগে বাড়তি অক্সিজেন তৃণমূলে, নির্বাচন কমিশনে জয় কার্যত নিশ্চিত রাজ্য সরকারের
কমিশন তাদের দাবি মেনে নিয়েছেন, জানান সৌগত রায়
এবারের নির্বাচনে প্রতিটি বুথে অন্তত চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ান রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এছাড়া বরাদ্দ ছিল একজন করে লাঠিধারী পুলিশ। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তৃণমূল সরকার দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তারা আর্জি জানিয়েছেন, যদি বুথে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হয় তাহলে ভোটারদের ভাষাগত কারণে সমস্যা হতে পারে। আর এর ফলে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে না। সূত্রের খবর, এই আর্জির নিরিখে কিছুটা সফট সিগন্যাল দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার ফলে ভোটের আগে আরো কিছুটা অক্সিজেন পেলেন তৃণমূল নেতারা।
জানা গিয়েছে, এডিজি আইনশৃঙ্খলা এবং পুলিশ আধিকারিকদের কাছে বুথের নিরাপত্তা নিয়ে যে নির্দেশ পৌঁছেছিল তাতে জানানো ছিল, প্রতিটি বুথে নিয়োগ করা হবে ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুলিশ। এছাড়া থাকবে ১ জন করে লাঠিধারী পুলিশ। অন্যদিকে, আরও জানানো হয়েছিল যে সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ২ অথবা তার বেশি সেখানে থাকবে ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুলিশ এবং তার সঙ্গে একজন করে লাঠিধারী পুলিশ। মূলত, মাওবাদী অধ্যুষিত জেলাগুলিতে এই ৮ জনের নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। তবে, তৃণমূলের তরফে দাবি জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বেশিরভাগ জওয়ান বাংলা জানেন না। এই কারণে তারা দাবি জানান, যেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন প্রতিটি বুথে রাজ্য পুলিশ নিয়োগ করে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন তাদের এই যুক্তি মেনে নিয়েছে।