করোনা হলে কী করবেন? কোন পোর্টালে নাম লেখাবেন ভ্যাকসিনের জন্য? জানুন সরাসরি
হাসপাতালকে ৪০০ টাকায় ভ্যাকসিন কিনতে হলে, সাধারণ মানুষ কী বিনামূল্যেই ভ্যাকসিন পাবে? নাকি দিতে হবে চার্জ?
ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি, দেশের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা এবার ৩ লক্ষ ছাড়াল ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৩৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৮৯ জন। এমন পরিস্থিতিতে ক্রমেই চাপ বাড়ছে স্বাস্থ্য পরিষেবায়। নেই বেড, নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা। তবে সামান্য উপসর্গ নিয়ে অনেকেই হোম আইসোলেশনের পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু করোনা হলে কতদিন আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়িতে থাকবেন? কী ওষুধ খাবেন? কী কী নিয়ম মানতে হবে? কখনই বা আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন? এই নিয়েই ঘরোয়া পন্থা জানালেন টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ডিরেক্টর ডঃ সিএস প্রমেশ।
করোনাক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে হবে। বারান্দা কিংবা ছাদে যেতে পারেন, তবে আক্রান্ত অবস্থায় বাড়ির বাইরে যাবেন না। এছাড়াও অক্সিজেন লেভেল ঠিক রাখতে ছ'মিনিট মাঝারি গতিতে হাঁটতে হবে, অবশ্যই বাড়ির মধ্যেই এটি করতে হবে। এবং বাড়িতে ট্রেডমিল থাকলে তাতেও করতে পারেন। ৮৫% মানুষেরাই হাসপাতালের চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই ভয়ের বিশেষ কারণ নেই। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে, বিশেষত অক্সিজেন লেভেল কম, শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। সাথেই বাড়িতে উষ্ণ গরম জলে গার্গেল করুন। নিজের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন।
এবং আপনি যদি করোনাক্রান্ত না হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই শনিবার ২৪ এপ্রিল, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কোউইন’ অ্যাপ্লিকেশন বা পোর্টালে নিজের নাম নথিভুক্ত করুন ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কোভিড টিকা নেওয়ার জন্য। ন্যাশনাল হেলথ অথরিটির চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার আরএস শর্মা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কোউইন’ অ্যাপ্লিকেশন বা পোর্টালের মাধ্যমে এই নাম নথিভুক্ত করা যাবে। অধিকাংশের মত, যেহেতু সরকারি হাসপাতাল গুলিকে ৪০০ টাকায় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হবে, তাই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে সরকারি হাসপাতালে এখনও অবদি বিনামূল্যে টিকা মিলছে, তবে অন্যান্য টিকা কেন্দ্রে চার্জ লাগছে।
এই পর্যায়ে টিকাকরণের পরিমাণ অনেক বেশি হবে, কাজেই আরও বেশি সরকারি ও বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্র তৈরি করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। ন্যাশনাল হেলথ অথরিটির চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার আরএস শর্মা জানান, এই পর্যায়ে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের সঙ্গেই রাশিয়ার স্পুটনিক ভি টিকাও কিছু কিছু কেন্দ্রে দেওয়া শুরু হবে।