'রাস্তা আটকে নমাজ পড়া বন্ধ করা হোক' টুইটারে বিস্ফোরক পোস্ট লেখিকা তসলিমার
মুসলিমদের নমাজ পড়ার অধিকারকে সমর্থন করলেও রাস্তা আটকে নমাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন তসলিমা নাসরিন
রাস্তা আটকে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলে নমাজ পড়ার তীব্র বিরোধিতা করলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। এক টুইট বার্তায় সরব হয়েছেন তিনি। যার জন্য তাঁকে শুনতে হচ্ছে নানা কটূক্তি। যদিও এসবের তোয়াক্কা করেন না তিনি। বরাবরই নানা বিষয়ে মুখ খোলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এবার রাস্তা আটকে নমাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গেল তাঁকে।
ঠিক কী বলেছেন সেই টুইটে? তিনি টুইটে লিখেছেন, "মুসলিমদের নমাজ পড়ার অধিকার আমি সমর্থন করি। যদিও মনে করি নমাজ পড়ার সবচেয়ে সঠিক স্থান নিজের বাড়ি। তবে যখন তাঁরা রাস্তা আটকে এবং সমস্যা তৈরি করে নমাজ পড়েন, সেটাকে আমি একদমই সমর্থন করি না। গোটা বিশ্বের সর্বত্র রাস্তা আটকে নমাজ পড়া বন্ধ করা হোক।"
এরপরেই লেখিকার বিরুদ্ধে একাধিক বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে একাংশের। আবার অনেকেই লেখিকার পাশে থেকেছেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। যা নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন তিনি। বরং যা সমাজের পক্ষে কল্যাণকর, যা মানুষের মঙ্গল করে তা নিয়ে লেখিকার মুখ খুলতে কোন কুন্ঠাবোধ নেই।
এর আগেও তিনি বিভিন্ন বিষয়ে সরব হয়েছেন। কখনও কুড়িয়েছেন নেটিজেনদের প্রশংসা, আবার কখনও কুৎসা। এসবের ঊর্ধ্বে লেখিকার মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি বরাবরই চোখে পড়েছে একাংশের। সাম্প্রতিক 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' ছবিটি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তাতেও তিনি মুখ খুলেছিলেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছিলেন, "আজ দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবিটি দেখলাম। যদি ছবিটির গল্প ১০০ শতাংশ সত্য হয়, যদি অতিরঞ্জিত করা না হয়ে থাকে কিংবা ছবির গল্প অর্ধসত্য না হয়, তাহলে বিষয়টি সত্যিই বেদনার। কাশ্মীরি পন্ডিতদের কাশ্মীরে থাকার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।"
এখানেই শেষ নয়, তিনি এরপরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর দমন পীড়ন নিয়ে সরব হয়েছিলেন। নিজেই বলেছিলেন, "আমি বুঝতে পারি না বাংলাদেশ থেকে বাঙালি হিন্দুদের উৎখাত নিয়ে কেন কোন ছবি তৈরি হয় না!" তসলিমার এই কথার পর নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এরপর ফের তিনি নমাজ বিষয়ে মুখ খুলে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন, বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।