মেয়েদের আত্মনির্ভর করতেই বিয়ের বয়স বৃদ্ধি, যুব উৎসবের অনুষ্ঠানে জোর সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর
মেয়েদের বিয়ের বয়স বৃদ্ধি করে তাদেরকে আত্মনির্ভর হওয়ার সুযোগ করে দিতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
মেয়েদের সার্বিক উন্নতি এবং তাদের ক্যারিয়ারের অগ্রগতির জন্য বিয়ের বয়স বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। আজ স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম দিবসের দিন জাতীয় যুব উৎসবের সূচনা করে এরকমটাই মন্তব্য করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার মতে, ভারতের যুব সমাজ ভারতের পরিবর্তন নিয়ে আসবে। তাই ভোকাল ফর লোকাল যুবদের জীবন মন্ত্র তৈরি করে নিয়ে দেশের অগ্রগতির জন্য নিজেদের চেষ্টা করতে হবে।
আজকের অনুষ্ঠান থেকে দেশের উন্নতির কাজ করতে যুবসমাজকে এগিয়ে আসার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার সঙ্গে সঙ্গেই মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার পক্ষে সওয়াল করলেন তিনি। এছাড়াও তিনি বললেন এই প্রস্তাব নিয়ে সংসদে একটি বিল পেশ করেছে ভারত সরকার। সেই বিল খতিয়ে দেখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৩১ জনের একটি কমিটিকে। সেই কমিটি নির্ধারণ করবে মেয়েদের বিয়ের বয়স সংক্রান্ত বিল সম্পূর্ণ সঠিক আছে কিনা। যদিও প্রশ্ন উঠছে এই কমিটির সদস্যদের নিয়ে। একটি গোটা কমিটি যারা মেয়েদের বিয়ের বয়স নিয়ে কাজ করবে তাতে সংযুক্ত রয়েছেন কেবল মাত্র একজন মহিলা, যিনি হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুস্মিতা দেব (Susmita Deb)। কমিটিতে মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে একাধিকবার চিঠি লিখেছেন, যা নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হয়েছে।
শীতকালীন অধিবেশনের সময় বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধকরণ সহ লোকসভায় একাধিক বিল পেশ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে শিক্ষা, মহিলা, শিশু, তরুণ ও ক্রীড়া বিষয়ক কমিটির কাছে পর্যালোচনা জন্য পাঠানো হয়। তবে দেখতে গেলে বর্তমানে ভারতের ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১ বছর এবং মেয়েদের বিয়ের বয়স নূন্যতম ১৮ বছর। এই নিয়মের পরিবর্তন করতে চাইছে বিজেপি সরকার। সংসদে পেশ করা বিলে মেয়েদের আইনি বিয়ের বয়স বাড়িয়ে ২১ বছর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নীতি আয়োগ এর জয়া জেটলির নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স কমিটি মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দিয়েছিল। ইতিমধ্যেই একটি সংসদীয় কমিটির কাছে এই প্রস্তাব পর্যালোচনার জন্য গিয়েছে।