পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ব্যাখ্যা পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের, নিজের চলে নিজেই হলেন কিস্তিমাত
তাদের কাছে ধর্মেন্দ্র প্রধানের আর্জি, তারা যেন তেলের উৎপাদন হ্রাস না করে
দিন কয়েক আগে বিহারের মন্ত্রী নারায়ণ প্রসাদ দাবি করেছিলেন, যেহেতু সাধারণ মানুষ গাড়ি চড়েন না, তাই তাদের ওপর পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে বাস্তবতা হলো একেবারেই ভিন্ন। বাড়তে থাকা পেট্রোলের ও ডিজেলের দামের জন্য এখন কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছুটা চাপের মুখে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দিক তাদের ওপরে চাপ সৃষ্টি করতে ব্যস্ত। তাই এবারে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছেন। তাদের কাছে ধর্মেন্দ্র প্রধানের আর্জি, তারা যেন তেলের উৎপাদন হ্রাস না করে। কারণ তার ফলে প্রচন্ড প্রভাব পড়ছে ভারতের ওপর। এবং ক্রমাগত বাড়ছে ভারতের পেট্রোলের দাম।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানালেন, "বর্তমানে দুটি কারণে ভারতে তেলের দাম বাড়ছে। এক, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজার তেলের উৎপাদন অনেক কমিয়ে দিয়েছে। আর যে যে দেশ এখনো উৎপাদন চালাচ্ছে, তারা কম উৎপাদন করছে, বেশি মুনাফা কামানোর জন্য। তাই যে দেশ এই তেলের ক্রেতা, তাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।" কিন্তু কেন্দ্রের এই কথার ফলে তারা নিজেরাই নিজেদের বুমেরাং ডেকে আনলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, কয়েক মাস আগে যখন লকডাউন হচ্ছিল, তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান অন্যান্য দেশের কম তেল উৎপাদনকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু এখন আবার তারা আর্জি রাখছেন, যেনো তারা ঠিকভাবে তেল উৎপাদন করেন। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের এক এক সময়ে এক এক মন্তব্য চোখে পড়ছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি শুধু দেশে না, এখন বিদেশের মাটিতেও চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বহু দেশ এই নীতির বিরোধিতা করতে সামিল।
তার মধ্যেই পাঞ্জাব পুরভোটে একেবারে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে আর কিছুদিনের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার মধ্যেই এই তেলের দাম বৃদ্ধি ইস্যু নিয়ে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় সরকারকে একেবারে চেপে ধরেছে। ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিটার পিছু পেট্রোলের মূল্যে ১ টাকা সেস কমিয়ে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। পাশাপাশি এই দাম কমিয়ে তিনি বিজেপির সাজানো ঘুঁটি খেয়ে ফেলতে পারেন বলেও ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ফলে বর্তমান সময়ে দেশে এবং বিদেশে নতুন কৃষি আইন এবং জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাঁড়াশি চাপে ভারতীয় জনতা পার্টি।