সমলিঙ্গের বিবাহের মামলা লাইভ স্ট্রিম করা হোক, নোটিশ জারি দিল্লি হাইকোর্টের
সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে যে সমস্ত মামলা বর্তমানে কোর্টে চলছে সেগুলির লাইভ স্ট্রিমিং করা হোক, এই দাবি নিয়ে আরজি রেখেছেন মুম্বাইয়ের তিনজন ব্যক্তি
মুম্বাইয়ের তিন ব্যক্তির করা আবেদনে রীতিমত তোলপাড় ভারতীয় বিচারব্যবস্থা। মুম্বাইয়ের ওই তিনজন আবেদন করেছিলেন সমলিঙ্গের বিবাহের স্বীকৃতি দেওয়ার সমস্ত মামলা হাইকোর্টে করা হবে সেগুলি যেন আদালত কক্ষ থেকে লাইভ স্ট্রিমিং করা হোক সকলের জন্য। এবারে সেই মামলায় মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং বিচারপতি জ্যোতি সিং এর বেঞ্চ ওই আবেদনের উপরে নোটিশ জারি করেছে। আবেদনকারীরা দাবি করেছিলেন, এলজিবিটি কমিউনিটির মানুষের সংখ্যা কিন্তু দেশে বেশ ভালই, বলতে গেলে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ রয়েছে এলজিবিটি কমিউনিটির মানুষ।
এই কারণে তাদের দাবি, ওই মানুষদের সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে যে মামলাগুলো করা হবে সেগুলির কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। প্রবীণ অ্যাডভোকেট নীরজ কিসন কাউল এদিন এই তিন আবেদনকারীর হয়ে সওয়াল করেছেন। তিনি আদালতে বলেছেন, তার দুইজন মক্কেল দেশের এক বড় সংখ্যক মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এই আবেদন জানিয়েছে। ভারতের বহু লোক জানতে চান, এই মামলাগুলি কিভাবে এগোচ্ছে এবং কিভাবে তাদের বিচার দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেকের পক্ষেই আদালতে আসা সম্ভব নয়। তার পাশাপাশি অত মানুষকে কোর্টরুমে জায়গা দেওয়াও সম্ভব না। তাই কাউল দাবি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্রীয় সরকার এবং বার কাউন্সিল সকলেই চাই যে মামলাগুলির জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে সেগুলো যেন লাইভ স্ট্রিমিং করা হোক।
অ্যাডভোকেট বললেন, গুজরাট উড়িষ্যা এবং কর্ণাটক হাইকোর্ট মামলার শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে বিধি জারি করেছে। এবং সমলিঙ্গের বিবাহ নিয়ে যে সমস্ত মামলা রয়েছে সেগুলি জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে। তাই এই নিয়ে ভেবে দেখা উচিত সমস্ত আদালতের। তবে শুধুমাত্র মুম্বাইয়ের ওই তিন ব্যক্তির করা আবেদনের ভিত্তিতে নয়, মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট আরো দু'টি মামলা ভিত্তিতে নোটিশ জারি করেছে। একটি মামলায় জানানো হয়েছে এক ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকায় সিভিল ম্যারেজ করেছেন। অন্য মামলায় বলা হয়েছে বছর কয়েক আগে বারাণসীতে দুই সমকামী নারী বিবাহ করেছেন। এই দুটি বিবাহকে যেন সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এলজিবিটি কমিউনিটির বিবাহ নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই তিনটি নোটিশের ভিত্তিতে জবাব দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সময় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।