ফের ভোগান্তির শিকার কোভিশিল্ড! এবার দুটি নয়, একটি ডোজ নেওয়ার পরামর্শ কেন্দ্রের
আগেই কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান ৪-৬ সপ্তাহের বদলে ১২-১৬ সপ্তাহ করা হয়েছিল
করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে গোটা দেশ। আর এই লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল টিকাকরণ। তাই যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত দেশবাসীকে ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দেওয়ার লক্ষ্যে সমস্ত দেশ। বাদ নেই ভারতও। ইতিমধ্যেই ভারতে ২০ কোটির বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন বলে দাবি বহু সংবাদমাধ্যমের। তবে ভারতে দেওয়া ভ্যাকসিন গুলি হল ভারতের নিজস্ব টিকা কোভ্যাক্সিন ও দেশে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড। তবে এই দুই ভ্যাকসিনের প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে বিশাল ব্যবধান। কাজেই, বহু ক্ষেত্রে টিকার অভাবে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে সম্প্রতি সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
তবে এবার এই সমস্যা মেটাতে অভিনব পন্থা বের করার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের। এর আগেই কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান ৪-৬ সপ্তাহের বদলে ১২-১৬ সপ্তাহ করা হয়েছিল। এবারও কী ফের ব্যবধান বাড়ানো হল? তা একদমই নয়। বরং এবার দ্বিতীয় ডোজই তুলে দেওয়ার কথা চলছে। কেন্দ্রের ভাবনা, জোড়া ডোজের বদলে যদি কোভিশিল্ডের একটি ডোজেই করোনার সংক্রমণ ঠেকানো যায় তাহলে কেমন হবে? এতে বাঁচবে সময়, তেমনই মিটবে ঝামেলা।
কিন্তু কোভিশিল্ডের একটি ডোজেই কী মিলবে সুরাহা? তাহলে এতদিন কেন দুটি ডোজ দেওয়া হল? এ বিষয়ে রিপোর্ট বলছে, প্রাথমিকভাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি সিঙ্গল ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্তই হয়েছিল। কিন্তু গবেষণার পর দেখা যায়, জোড়া ডোজে এর প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। সেই কারণেই কোভিশিল্ডের (Covishield) দু’টি ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
তবে জোড়া ডোজে প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হলে, কেনই বা একটি ডোজের পরামর্শ? এক্ষেত্রে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অফ ইমিউনিজেশনের (NTAGI) করোনা সংক্রান্ত বিভাগের চেয়ারম্যান এনকে আরোরা সংবাদমাধ্যমকে জানান, কোভিশিল্ডের একটি ডোজ ঠিক কতখানি কার্যকরী, তা খতিয়ে দেখা হবে।