অরুণাচল প্রদেশের ১৫টি জায়গা নিজের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি চিনের, চীন-ভারত সংঘাত আবারও চরমে
অরুণাচলের ওই ১৫ টি জায়গার নামকরণও করেছে চীন সরকার
গত বছর থেকেই লাদাখ ইস্যু নিয়ে ভারত এবং চীনের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত থেকে তিক্ততর হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এই বছর ইতিমধ্যেই চাপান উতোর রয়েছে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে। তার মধ্যেই, এবারে সরকারিভাবে অরুণাচল প্রদেশের ১৫টি জায়গার নতুন নামকরণ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভারত সরকারকে চ্যালেঞ্জ করল চীন সরকার। বেজিং হাই কমিশন একটি বিশেষ মানচিত্রে ভারতের ওই সমস্ত অঞ্চল গুলিকে নিজেদের ভূখণ্ডের বলেও দাবি করেছে। ভারত সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব না দেওয়া হলেও, ভারত সরকার সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের বাইরে যেতে পারে না, এটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোন সরাসরি ঘোষণা না হলেও, অরুণাচল প্রদেশ ইস্যু নিয়ে ভারত সরকার এবং চীন সরকারের মধ্যে যে আবারো চাপান উতোর শুরু হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
যদিও ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলছেন, 'এ বিষয়টা প্রথমবার হয়নি। ২০১৭ সালেও এরকম ভাবেই অরুণাচলের বেশ কিছু এলাকার নামকরণ করেছিল চীন। কিন্তু সেই সময় চিন এমন কোনো অসুবিধা করে উঠতে পারেনি, তাই এখনও পারবে না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা কোনদিন খন্ডানো যাবে না। শুধুমাত্র নামকরণ করে দিলেই সত্য বদলে যাবে না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের মধ্যেই থাকবে চিরকাল।'
নতুন বছরের শুরুতে একটি সীমান্ত আইন কার্যকর করতে চলেছে চীন এবং সেই নিয়েই যত বিতর্ক শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার চীনের অসামরিক বিষয়ক মন্ত্রক বিশেষ মানচিত্র প্রকাশ করে। এই মানচিত্রে চিন দাবি করে, ভারতের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু অঞ্চল নাকি চীনের ভূখণ্ড এর মধ্যে পড়ে। ওই সমস্ত অঞ্চলগুলিকে দক্ষিণ তিব্বত ওরফে জঙ্গনান প্রদেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে চীন। নতুন প্রদেশগুলির নতুন নামকরণ করা হয়েছে বলেও খবর। তবে ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, এর আগেও চীন এরকম ভাবেই বেশ কিছু জায়গার নাম পরিবর্তন করেছে। ২০১৭ সালেও চীন সরকারের তরফ থেকে এ রকমই একটি মানচিত্র সামনে নিয়ে আসা হয়েছিল যেখানে অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু অঞ্চলকে নিজের অংশগত করে নিয়ে তার নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। যদিও সেই সময় চীন তেমন কোনো অসুবিধা করে উঠতে পারেনি।