শিবাজি মহারাজ জন্মজয়ন্তী, শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে দেশ
ছত্রপতিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে সামিল হয়েছেন দেশবাসী
১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৬৩০। মহারাষ্ট্রের শিভনেরি দুর্গে (বর্তমান পুনে) জন্ম হয় ভারতের ইতিহাসের সেরা তিন যোদ্ধা-মহারাজাদের একজন, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের। তাঁর বীরগাথা সম্পর্কে জানেন না, এমন ভারতীয় খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আজ সেই মহাপুরুষের ৩৯২তম জন্মজয়ন্তী। বিশেষ এই দিনে ছত্রপতিকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে সামিল হয়েছেন দেশবাসী।
শিবাজি মহারাজের জন্মের এই বিশেষ তিথি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছেন, “ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের জন্মজয়ন্তীতে আমি তাঁর কাছে মাথা নত করি। তাঁর অসাধারন নেতৃত্ব এবং সমাজকল্যানে তাঁর অবদান প্রজন্ম ধরে মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে। যখনই সত্য এবং ন্যায় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি কোনও অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি। আমরা তাঁর স্বপ্নকে সফল করতে বদ্ধপরিকর”।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে লিখেছেন, “বীর, পরাক্রমি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে সাদর প্রণাম। অহঙ্কার এবং অন্যায়ের সামনে ভয়হীনতাই সবথেকে প্রভাবশালী অস্ত্র”।
টুইট করে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় লিখেছেন, “তাঁর অসীম সাহস, অসামান্য যুদ্ধশৈলী এবং মাতৃভূমির প্রতি প্রেম প্রত্যেক ভারতবাসীকে নিজের দেশকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করবে”।
সম্মানজ্ঞাপন করে টুইট করেছেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। লিখেছেন, “নিজের সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিলেন শিবাজি মহারাজ”।
টুইট করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
পুরীর সমুদ্রসৈকতে বালি দিয়ে শিবাজির অবয়ব তৈরি করেছেন প্রসিদ্ধ বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক।
এছাড়াও দেশের সেলেব্রিটি থেকে আম নাগরিক, সকলেই বিশেষ এই দিনটিতে নিজ ভঙ্গিমায় ছত্রপতিকে সম্মানজ্ঞাপন করেছেন।
মৃত্যুই জীবনের সত্য। জীবমাত্রেই মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু মৃত্যুর পরেও নিজের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী বেঁচে থাকেন যারা, তাঁরাই মহাপুরুষ। ছত্রপতি শিবাজিও তাঁদেরই একজন। যে কারনে মৃত্যুর প্রায় সাড়ে তিনশো বছর অতিক্রান্ত হলেও তিনি বেঁচে আছেন প্রতিটি দেশবাসীর অন্তরে। তাঁর স্বপ্ন, অখণ্ড ভারতবর্ষের ধারণা আজও বেঁচে আছে লক্ষ-কোটি ভারতবাসীর হৃদয়ে। যে ‘পার্বত্য মূষিকের’ আকস্মিক মৃত্যুতে মাথা নত করেছিলেন তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্ধি অউরঙ্গজেবও, আজ তাঁর ৩৯২তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে ভাসছে নেট দুনিয়া।