মুদ্রাস্ফীতিতে বেহাল দশা জিম্বাবুয়ের৷ ১ আউন্সের মূল্য প্রায় ১৭২৪ ডলার! তাই এবার স্বর্ণমুদ্রাতে আস্থা রাখল সেই দেশের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ, স্থানীয় মুদ্রার বদলে এবার নতুন কয়েন চালু করল সরকার। মুদ্রাটি সোনার, নাম মোসিয়া-ওয়া-টুন্যা। ভিক্টোরিয়া ফলসের নামে নামাঙ্কিত এই স্বর্ণমুদ্রার প্রত্যেকটির মূল্য ১৮০০ ডলার। জানা গিয়েছে, প্রথম লটের ২০০০ কয়েন ইতিমধ্যেই চালান করা হয়েছে স্থানীয় ব্যাঙ্কগুলিতে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে নভেম্বর নাগাদ যখন জিম্বাবুয়ের সরকার ছিল প্রয়াত রবার্ট মুগাবের অধীনে তখন মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৮৯.৭%। রুটি বিকোচ্ছিল ৮০০-৯০০ মুল্যে। সেইসময় অর্থনীতির হাল ধরতে জিম্বাবুয়ের সরকার নিজস্ব কারেন্সি বিসর্জন দিয়ে মার্কিন ডলার ব্যবহার করার জন্য বেছে নেয়। গত বছর জিম্বাবুয়ে নিজেদের পলিসি রেট ৮০% থেকে ২০০% করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ আগামী পাঁচ বছর ধরে মার্কিন ডলারকে লিগাল টেন্ডার হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা ছিল। দেশের নাগরিকদের কনফিডেন্স বৃদ্ধি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভেবেছে জিম্বাবুয়ের সরকার।
আফ্রিকার দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কা বিপুল ছড়িয়ে পড়েছে। একের পর এক দেশ মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় কাবু। বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির ১৯২% ছাপিয়ে গিয়েছে ওই দেশে। জিম্বাবুয়ের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর জন মাঙ্গুদিয়ার মতে, সোনার কয়েন এবার সাধারণ দোকান বাজারেও ব্যবহার করার চেষ্টা চালানো হবে। এখন দেখার, আর্থিক মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় কাবু এই দেশে সোনার মুদ্রা ব্যবহার করে কতদূর মুদ্রাস্ফীতিকে ঠেকাতে পারে।