মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তরফে জানানো হয়েছে সম্প্রতি ইউক্রেনের হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার উপর হামলা ক্রমানুসারে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। WHO য়ের তরফে জারি সতর্কবার্তায় এও জানানো হয়েছে যে যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেনে জরুরীকালীন চিকিৎসা সরবরাহের অভাব ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে দিনপ্রতি।
সোমবার জাতিসংঘের সংস্থার তরফে পেশ করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ইউক্রেনের উপর মোট ১৬ বার হামলা করেছে রাশিয়া। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিতে কমপক্ষে ৯ জন মারা গেছে। যদিও এরজন্য রাশিয়া দায়ী তা সরাসরি উল্লেখ করেনি জাতিসংঘ।
WHO এর সিনিয়র জরুরি কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি বয়ানে জানিয়েছেন যে এই ট্যালির মধ্যে এমন ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যেখানে জরুরি স্বাস্থ্যপরিসেবা ব্যাতিরেকে অন্য উদ্দেশ্যেও অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করা হয়েছে। স্মলউডের কথায়, "আমরা সেই সংখ্যাগুলি আপডেট করতে থাকব। গত কয়েকদিন ধরে বেশ দ্রুত এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।"
সংস্থাটি নিয়মিত ধারাবাহিকভাবে ইউক্রেনে চিকিৎসা সরবরাহের জন্য কাজ করে চলেছে। ইউরোপের রিজিওনাল ডিরেক্টর হ্যান্স ক্লুজ তার বয়ানে জানিয়েছেন, অক্সিজেন, ইনসুলিন, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম, অস্ত্রোপচারের সামগ্রী এবং রক্তের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ন্ত হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, WHO য়ের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল এই অঞ্চলে অক্সিজেন লিড, শিশুদের ভ্যাকসিন এবং মনোবিদের অভাব যেন না হয়। তিনি আরও জানান, মাতৃস্বাস্থ্য এবং প্রসূতিদের যত্ন, মহিলাদের স্বাস্থ্যের চাহিদাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে তাদের। পাশাপাশি কোনো মহিলাকে যৌন নির্যাতনের শিকার যাতে না হতে হয়, তার দিকেও যথেষ্ট দৃষ্টিপাত করছেন তাঁরা।
ক্লুজের কথায়, "অতীতের দ্বন্দ্ব আমাদের দেখিয়েছে যে কিশোরী, প্রতিবন্ধী মহিলা এবং বয়স্ক মহিলারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন৷ অপরিচিত এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী তো বটেই পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ অংশীদারদের শাসন-শোষন এবং যৌন নির্যাতনের শিকারও হতে হয়েছে তাদের"। এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্যই সচেষ্ট থাকছেন তারা।