বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের ক্রমবর্ধমান ঘটনা নিয়ে আতঙ্কিত একদল বিজ্ঞানী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন (Soumya Swaminathan) বলেছেন, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব আমাদের কাছে আগাম সতর্কবার্তা। এটি মানুষের 'ঘুম ভাঙানোর' অ্যালার্ম। আমাদের প্রাণঘাতী প্রাদুর্ভাবের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, "মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়া আসলে ঘুম ভাঙানোর ডাক। আমাদের সর্বদা এইধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে।" সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ১৯৭৯-৮০ সাল থেকে স্মলপক্সের টিকাকরণ বন্ধ রয়েছে। গোটা বিশ্বে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে এটি।
ডঃ স্বামীনাথন অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন মাঙ্কিপক্সের জন্য গুটিবসন্তের টিকা ব্যবহার করা কার্যকর হতে পারে, যদিও আরও পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন, "আজকে আমাদের কাছে গুটিবসন্তের জন্য যে ভ্যাকসিন রয়েছে, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রজন্মের টিকা রয়েছে, তবে খুব সীমিত ডোজ রয়েছে। দেশগুলো এই ভ্যাকসিনগুলো মজুত করে রাখছে যদি গুটিবসন্তের প্রাদুর্ভাব ঘটে, জৈবিক বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে।"
ডঃ স্বামীনাথন আরও বলেন, সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া-সহ ভারতীয় ঔষধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলি বিদ্যমান গুটিবসন্ত ভ্যাকসিনের বোতলজাতকরণ, বিপণন এবং বিতরণে ভূমিকা রাখতে পারে যদি এটি ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ভারতে চারজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এরমধ্যে তিনজন কেরলের বাসিন্দা, একজন দিল্লির। কেরলের তিন বাসিন্দার সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস থাকলেও, দিল্লির আক্রান্ত যুবক সম্প্রতি মানালিতে একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তেলঙ্গানাতেও মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে সন্দেহ এক ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে।