ইউক্রেনের (Ukraine) রাজধানী কিভের পর এবার বন্দরনগরী মারিয়ুপোলে ভয়ানক মৃত্যুতান্ডব চালাল রাশিয়ান (Russian) সেনা। মঙ্গলবার ইউক্রেনের উপ-রাষ্ট্রপতি ইলিনা ভায়েসচুক জানান, "সোমবার মারিয়ুপোলে অন্তত ১,৫৫০ জন অসামরিক নাগরিককে খুন করেছে রাশিয়ান সেনা।" কিভের (Kiev) উপকন্ঠে মটিজিনের একটি কবর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ টি দেহ, যারমধ্যে অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় মেয়রও।
এছাড়াও মৃতা মহিলাদের মধ্যে নারী, শিশুরাও আছেন। দশ বছরের একটি কিশোরীর যৌনাঙ্গে অত্যাচারের সুস্পষ্ট ছাপ দেখা গেছে। এই প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, 'আপনারা সক্রিয় হোন, না হলে সকলকেই এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে।" জেলেনস্কি আরও জানিয়েছেন যে ইউক্রেনের মহিলাদের উপর দখলদার রুশ বাহিনীর নৃশংস অত্যাচারের ভিডিয়ো দেখে তিনি শিউরে উঠেছিলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অত্যচারের নমুনা বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান, এটি রাশিয়ান রেগুলার আর্মির কাজ নয়, বরং প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাঠানো চেচেন যোদ্ধারা এমন নৃশংস কাজ করছে। আসলে চেচেনিয়ার মিলিশিয়া নেতা রমজান কাদিরভের বাহিনীর নৃশংসতার দুর্নাম রয়েছে বহুযুগ ধরেই। আর এবার খোদ জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন যে ইউক্রেনের বোরোডিয়াঙ্কা শহরে বুচার বাহিনীর চেয়েও ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে পুতিনের এই ঘাতক বাহিনী।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ভার্চুয়াল বক্তৃতায় ক্ষুব্ধ ও হতাশ জেলেনস্কি বলেছেন, "আপনারা কি রাষ্ট্রপুঞ্জ তুলে দিতে চান? সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন কি এবার উঠে যাবে?" এমন পরিস্থিতিতে মানবজাতির সংকটে সমগ্র ইউক্রেনবাসীকে একজোট হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, "আপনারা সক্রিয় হোন, না হলে সকলকেই এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে।" উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের আর্জি জানিয়ে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, "আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এইবার নিরাপত্তা পরিষদের সক্রিয় হওয়া উচিত।"