তালিবান সন্ত্রাসবাদীরা কাবুলে কব্জা জমানোর পরেই আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনি। চার গাড়ি ভর্তি টাকা নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত জেটে করে তিনি চলে গেছিলেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাজাকিস্তানে। কিন্তু সে দেশে ঠাঁই হয়নি আফগান প্রেসিডেন্টের। তবে এবার ‘দেশছাড়া’ গনির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।
বুধবারই আফগানের বিদেশমন্ত্রক সরকারী ভাবে জানায়, তাদের দেশ মানবতার খাতিরে আফগান প্রেসিডেন্ট এবং তাঁর পরিবারকে সে দেশে শরণ দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, তালিবানেরা কাবুল দখলের পর, রোববারই, গনি সে দেশ ছেড়ে পালান। তবে দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে গনি ফেসবুকে পোস্ট করে জানান, তালিবানেরা জয় পেয়েছে। সাথে দেশ ছেড়ে পালানোর অজুহাত হিসাবে তিনি বলেন, ‘তিনি রক্তের বন্যা দেখতে চান না’।
যদিও দেশ ছাড়ার পরে ৭২ বছর বয়সী গনি-র প্রাথমিক গন্তব্য সম্পর্কে কেউ অবগত ছিল না, তবে কিছু অনিশ্চিত সুত্র মারফত খবর পাওয়া গেছিল, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওমান বা তাজাকিস্তান বা উজবেকিস্তানে গিয়ে থাকতে পারে। কিছু সুত্র আবার এমন দাবীও করেছিল, আশরাফ গনি তাঁর স্ত্রী-এর দেশ লেবাননে গিয়ে উঠতে পারেন। তবে এবার আরবের থেকে সরকারীভাবে জানা গেল আশরাফের অবস্থান।
অপরদিকে, আফগানিস্তান এই মুহূর্তে পৃথিবীর বুকে নরকের থেকে কোনও অংশে কম নয়। সেখানে নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিদিন অত্যাচারিত হয়ে চলেছেন। দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে তালিবান। যদিও তারা দেশে শান্তি কায়েম করার কথা বারবার বলে চলেছে, কিন্তু তাদের কাজ বলছে ঠিক তার উল্টো কথা। ফলে আফগানিস্তান এবং আফগানবাসীর ভবিষ্যৎ এখন কার্যত প্রশ্নের মুখে।