যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থা শোচনীয়। রাজধানী কিভের পতন আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। প্রতিরোধ করতে নিজেদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত ইউক্রেন। এরমধ্যেই যুদ্ধ রুখতে আলোচনার প্রস্তাব দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কবে শেষপর্যন্ত অস্ত্র ছেড়ে আলোচনার টেবিলে বসবে দুই দেশ, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।
আলোচনা হবে তবে বিশেষ শর্ত মেনে। রাশিয়ার দাবি অস্ত্র সরিয়ে আত্মসমর্পণ করে আলোচনায় বসতে হবে ইউক্রেনকে। আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ক্রেমলীন জানিয়েছেন আলোচনায় বসতে আগ্রহী যদি রাশিয়া আগ্রহী হয়। জানা যাচ্ছে বেলারুশের মিনস্কে হতে পারে আলোচনা। পুতিনের শর্তে কি রাজি হবেন ক্রেমলীন, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। জানা যাচ্ছে এই শান্তি বৈঠক যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হয় তার দায়িত্বে থাকবেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুক্রেকস্নো।
ক্রেমলীনের মুখপাত্র ভ্লাদিমির জেলেন্সকি বলেন, "আমরা এর আগে কয়েক মাস ধরে মস্কোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছি। বহুবার কথা বলার চেষ্টা করেছি ওনারা আসেননি। ইউক্রেনের রাজনৈতিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ভবিষ্যৎ, সমগ্র ইউরোপের ভবিষ্যৎ। এইজন্যে আমরা আবারও রাশিয়ান প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করছি বৈঠকে বসার"। বলাই বাহুল্য সেই আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ স্বীকার করেছেন পুতিন।