আশঙ্কাই সত্যি হল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাড়তি চাপ তৈরি করল রাশিয়া (Russia)। ইউক্রেনের (Ukraine) দুই রুশপন্থী অঞ্চলকে 'স্বাধীন' ঘোষণা করল রাশিয়া। এমন চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বসছে বিশেষ জরুরি বৈঠক। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমি জেলেন্সকির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথা হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। শেষমেশ যুদ্ধ পরিস্থিতি যে আরও কিছুটা এগোল বলাই বাহুল্য।
গতকাল একটি রাশিয়ান টিভিতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) জানান, "আমি বিশ্বাস করি, অবিলম্বে দোনেৎস্ক ও লুগানস্কের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।" তিনি আরও জুড়ে দেন, ইউক্রেন তো আমেরিকার হাতের পুতুল। এই ঘোষণার পরেই এই দুই অঞ্চলে রুশ সৈন্যবাহিনীর জমায়েত শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কে আরও ফাটল ধরতে পারে, বলছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের (UN) নিরাপত্তা পরিষদে বসছে জরুরি বৈঠক। আমেরিকার প্রতিনিধি সরাসরি রাশিয়ার উপর অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। যদিও পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েনি রাশিয়া। তাদের স্পষ্ট দাবি, এমন ভাবে চলতে পারে না। ইতিমধ্যেই রাশিয়া অধিকৃত ইউক্রেনের দুই অঞ্চলে সৈন্য মজুত শুরু হয়েছে। ইউক্রেন চাইলে এই দুই অঞ্চল ছেড়ে দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় আসতে পারে, নয়তো রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্রমশ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে।
রাশিয়া ইউক্রেন সমস্যার কারণে ইউক্রেনে থাকা কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া সমস্যায় পড়তে পারেন। সেই কারণে ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের তরফে সেই পড়ুয়াদের যত শীঘ্র সম্ভব দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। ইউক্রেন রাশিয়া সংঘর্ষে ভারতের তরফে এখনও পর্যন্ত কোন পক্ষ সমর্থন লক্ষ্য করা যায়নি। বরং ইউক্রেনে থাকা প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়াদের কীভাবে অতি দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, সে চেষ্টা করছে ভারত।