আচমকা টর্নেডোতে (Tornado) বিপর্যস্ত আমেরিকার (America) অন্তত ৬ টি প্রদেশ। তবে সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আমেরিকার কেন্টাকিতেই (Kentucky)। যেখানে মৃতের সংখ্যা ৭০ জনের বেশি। অসংখ্য মানুষ আটকে পড়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। তাই মৃতের সংখ্যা যে আরও বাড়তে পারে বলাই বাহুল্য। কেন্টাকির ২০০ মাইল জুড়ে টর্নেডোর দাপটে ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, দোকানবাজার, গাছপালা। মানুষ বুঝতে পারার আগেই আচমকাই আছড়ে পড়ে এই টর্নেডো। যার জেরে বহু মানুষের চাপা পড়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শোকপ্রকাশ করেছেন। প্রশাসনের তরফে সব ধরণের সহযোগিতামূলক ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, জানি না এই আকস্মিক টর্নেডোয় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত। কতজন মারা গিয়েছেন এর সঠিক তথ্য এখনও পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি। এ একটা বড় ট্র্যাজেডি। শনিবার রাতে আচমকাই এমন টর্নেডো হানায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এমন কী আগাম কোন সতর্কবার্তাও ছিল না। উদ্ধারকার্য চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত মৃতের সঠিক সংখ্যা কত জানা সম্ভব হয়নি। আমেরিকার অন্তত ৬ টি প্রদেশের বেশ কয়েকটি জায়গা একেবারে লন্ডভন্ড।
আমেরিকার ৬ টি প্রদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেন্টাকি। কেন্টাকির মেফিল্ড শহরে ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে। মেফিল্ড শহরের গভর্নর জানিয়েছেন, ঝড়ের তান্ডবে কতজনের প্রাণ গেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ৫০ নাকি ৭০ জানা নেই। মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেলেও তিনি আশ্চর্য হবেন না বলে জানিয়েছেন। ঝড়ের তান্ডবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সূত্রের খবর, মেফিল্ড শহরের একটি মোমবাতি তৈরির কারখানা ঝড়ের তান্ডবে ধূলিস্যাৎ হয়েছে। এই কারখানায় বেশ কয়েকজন কর্মী মারা গেছেন বলে খবর। আরকানসাস প্রদেশের একটি নার্সিংহোমের ছাদের শেড উড়ে গেছে। এই নার্সিংহোমে একজনের মৃতের খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা লন্ডভন্ড। এছাড়া আমেরিকার এক প্রদেশে অ্যামাজনের এক কারখানার গুদামঘরে কিছু কর্মী চাপা পড়ার খবর এসেছে। উদ্ধার কাজ চলছে। মৃতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রশাসনের তরফে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।