দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন, তারমধ্যেই লং রুপোলি গাউন পড়ে এক তন্বীতরুনী। কি ভাবছেন সে বাঁচার জন্য ছটফট করছে? মোটেই না। পেছনে জ্বলতে থাকা আগুন তোয়াক্কা না করেই সে টিকটক ভিডিও বানাচ্ছেন। বরং ওই আগুনকে তিনি ব্যবহার করছেন প্রম্পট হিসেবে। আর এরপরেই স্যোশাল মিডিয়া তোলপাড় হয় সমালোচনায়। নেটিজেনরা নিন্দা করতে থাকেন, মাত্র ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও বানানোর জন্য জঙ্গলে আগুন লাগানো সত্যিই পাগলের পরিচয়। অতপর চাপের মুখে ভিডিওটি সরাতে বাধ্য হয়েছেন ওই তরুণী। ভাবছেন তো কে এই মহিয়সী? তিনি হলেন পাক মুলুকের বেশ জনপ্রিয় টিকটক অভিনেত্রী হুমায়রা আসঘর।
ভারতে টিকটক ব্যান হলেও গোটা বিশ্বজুড়ে রমরমিয়ে চলছে এটি। নানান ধরনের ভিডিও নিত্যনতুন কন্টেন্ট, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকে টিকটকে। যে যত ভালো কন্টেন্ট বানাতে পারবে তার ফলোয়ার্স তত বাড়বে। পাকিস্তানী টিকটকার হুমায়রা আসঘরের টিকটক অ্যাপে এক কোটির বেশি ফলোয়ার রয়েছে। অনুরাগীদের মনোরঞ্জনে নানান ভিডিও পোস্ট করে থাকেন তিনি। সম্প্রতি যে ভিডিওটি তিনি আপলোড করেছেন তাতে সাদা গাউন পরে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে দেখা গিয়েছে তাকে। আর তাঁর পিছনে থাকা জঙ্গলে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। ক্যাপশনে লিখেছেন, "আমি যেখানেই যাই সেখানে আগুন জ্বলে।"
আর এই ভিডিও দেখেই দর্শকরা রেগে বোম হয়ে গেছেন। মাত্র ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওর জন্য এভাবে পরিবেশের ক্ষতি করার জন্য হুমায়রাকে তুলোধনা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের এক পরিবেশকর্মী ও ইসলামাবাদ ওয়াইল্ড ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের চেয়ারপার্সন এক পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে বলেছেন, "বনের মধ্যে আগুন লাগাকে গ্ল্যামারাইজ করার বদলে সেই আগুন নেভানোর জন্য তাঁর এক বালতি জল হাতে দাঁড়ানো উচিত ছিল।" নেটিজেনরা টিকটক ভিডিয়োর নীচে লিখেছেন, "এটি অজ্ঞতা ও পাগলামির পরিচয়।" টুইটারে আবার আরেকজন লিখেছেন, "যদি কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না করে তাহলে তাঁকে অন্তত কেউ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্লক করতে পারেন ।" এর পাশাপাশি তাঁর কঠোর শাস্তির দাবিও উঠেছে। তবে হুমায়রা দাবি করেছেন, "আগুন তিনি জ্বালাননি। শুধুমাত্র ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন। আর ভিডিও রেকর্ড করা কোনও অপরাধ হতে পারে না।" যদিও ভিডিওটি ডিলিট করে দিয়েছেন তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই।