তালিবান অধিকৃত আফগানিস্তানে আবার হতে পারে হামলা। কার্যত এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্রিটেন ও আমেরিকা। তাই এই মর্মে কাবুলে থাকা ব্রিটিশ ও আমেরিকানদের সতর্ক করল দুই দেশ। গতদিনই এই দুই দেশের তরফ থেকে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে আফগানিস্তানে থাকা তাদের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে। এখানে বলা হয়েছে, কাবুলের বিভিন্ন হোটেল বা রেস্টুরেন্টে যেন তারা না যান। যদিও আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পরে সেদেশ ছেড়ে নিজের দেশে ফিরে এসেছেন বহু বিদেশী নাগরিক। তবে এখনো যারা সেখানেই আছেন, তাদের উদ্দেশ্যেই এই সতর্কবার্তা।
ঠিক কি জানানো হয়েছে? আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে ঘোষিত হয়েছে, সেরেনা হোটেলের কাছে বা সেরেনা হোটেলে যে সমস্ত আমেরিকার নাগরিক রয়েছেন তাঁদের অতি দ্রুত অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। তবে ‘নিরাপত্তার কারণে’ এই ঘোষণা করা হয়েছে বলে আমেরিকা সূত্রে খবর। শুধু আমেরিকাই নয়, ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও ব্রিটিশ নাগরিকদের আফগানিস্তানে আসতে বারণ করা হয়েছে। আর একইসঙ্গে বলা হয়েছে, "সুরক্ষার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই, ব্রিটিশ নাগরকিদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তাঁরা যেন কোনও হোটেলে না থাকেন। বিশেষ করে কাবুলে, সেরেনার মতো অভিজাত হোটেল একেবারেই এড়িয়ে চলা ভাল।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই কাবুলের একটি মসজিদে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে মারা যান অন্তত ১০০ জন। আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর মদতেই এই হামলা হয়েছে বলে খবর। গত কয়েক সপ্তাহে লাগাতার আইএস জঙ্গিদের একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানে, তাই এই হামলার জবাব দিতে তালিবানরাও প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে। তবে কাবুলে তালিবান শাসন প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর থেকেই শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে। আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য যখন বিমানবন্দরে প্রচুর লোক ভিড় জমিয়েছেন, তখনই আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ১৭০ জনের মৃত্যু হয় যার মধ্যে ১৩ জন আমেরিকান সৈনিকও ছিলেন। এই সমস্ত ঘটনার কথা মনে করেই ফের আগাম সতর্কবার্তা দিল আমেরিকা ও ব্রিটেন।