তিনি এতদিন ভূতের মতো আমেরিকান সেনার নাকের ডগায় ঘুরেছেন, কিন্তু কী আমেরিকান সেনা কী আফগান সেনা, কেউই তাঁর ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারেনি। প্রায় এক দশক পর সাংবাদিক বৈঠক করে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তালিবানের (Taliban) মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ (Zabiullah Mujahid)। তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর গত মাসেই প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিলেন এই তালিবান নেতা। এরপর তিনি একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন। এমনকী ক্ষমতায় ফিরে আফগানিস্তানে তালিবান কীভাবে সরকার পরিচালনা করবে, তার একটা রূপরেখাও তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। আর এবার সাংবাদিক বৈঠকে কীভাবে আমেরিকান ও আফগান সেনার চোখে ধুলো দিয়ে সেদেশের রাজধানী কাবুলে দিনের পর দিন মুক্তভাবে ঘুরে বাড়িয়েছেন, তার চিত্র তুলে ধরলেন এই তালিবান নেতা।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মুজাহিদ জানিয়েছেন, আমেরিকান সেনা ধরতে না পেরে তাঁকে ভূত ভাবতে শুরু করেছিল। তাদের ধারণা হয়েছিল তিনি বোধহয় এই পৃথিবীতেই আর নেই। কিন্তু তিনি আমেরিকান সেনার নাকের ডগায় ওদের ছায়াসঙ্গী হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের নওসেরায় হাক্কানিয়া সেমিনারিতে পড়াশোনা করেছেন। তিনি একা নন, কার্যনির্বাহী তালিবান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানি, জল ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী মোল্লা আবদুল লতিফ মনসুর, টেলিকম মন্ত্রী নাজিবুল্লা হক্কানি, শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আব্দুল বাকি হক্কানি প্রত্যেকেই নাকি এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার জেহাদীদের বিশ্ববিদ্যালয় বলে অনেকেই দাবি করেন। তিনি আফগানিস্তানের অলিতে গলিতে ঘুরেছেন, কিন্তু কেউ তাকে ধরতে পারেনি।
তিনি কোনদিন আফগানিস্তান ছাড়েননি বলেও দাবি করেছেন। এই ৪৩ বছর বয়সী তালিবান নেতার আরও দাবি, তালিবানদের কাজের জন্য তাকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়েছে। কিন্তু চিরতরে তিনি দেশ কখনও ছাড়েননি। এমনকী তাঁকে ধরার জন্য আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের টাকা বিলিয়েছে আমেরিকান সেনা, কিন্তু তারপরও তার কাছাকাছি কেউ পৌঁছাতেই পারেনি। গত কয়েক বছর ধরে আমেরিকার সেনাদের ছায়াসঙ্গী হয়ে ঘুরলেও কেউ তাঁর কোন খবরই পায়নি।