গত বৃহস্পতিবার তালিবানরা (Taliban) ১০ টি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করেছিল। দখল হওয়া শহরগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল গজনি। দেশের রাজধানী কাবুলের থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে গজনি হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে আফগান সরকার কার্যত হাল ছেড়ে দিতে শুরু করেছিল। এমনকি সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য কট্টরপন্থী ওই ইসলাম জনগোষ্ঠির সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। তবে আজ সকালেই কাবুলের (Kabul) শহরতলীতে পৌঁছে গেছে তালিবান। কলকান, কারাবাঘ এবং পাঘমান প্রদেশে পৌঁছে তালিবান যোদ্ধারা একপ্রকার রাজধানী কাবুলকে ঘিরে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি অফিসগুলি থেকে সরকারি কর্মচারীরা পালাতে শুরু করেছে। বহু আফগান কমান্ডার ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করে নিয়েছে তালিবানি যোদ্ধাদের কাছে।
আগেই মাজার-ই-শরীফ ও জালালাবাদের মত দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর এখন তালিবানদের দখলে। তখনই বোঝা গিয়েছিল আফগান প্রশাসন খুব বেশিদিন কাবুলে জঙ্গিদের পতাকা উড়তে বাধা দিতে পারবে না। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কার্যত অসহায় প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও আফগানিস্তান প্রশাসন। তিনি বলেছেন, "দেশের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে আমার কাজ দেশবাসীকে রক্ষা করা। দেশ এই মুহূর্তে গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। আমি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজছি। আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। গত ২০ বছরে যা যা ফিরে পাওয়া গিয়েছিল তার সবই আবার হারিয়ে গেল।"
অন্যদিকে কাবুল ঘিরে ফেলে তালিবানের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, "জনবহুল কাবুলে তারা যুদ্ধ করতে চায় না। দর কষাকষি চলছে, যাতে নিরাপদে এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর ঘটে। সাধারণ মানুষ যেন হিংসার বলি না হন, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। কাবুলের মানুষের জীবন বিপন্ন হোক, তা একেবারেই চাই না আমরা।" এছাড়াও জানা গিয়েছে, তালিবান তাদের যোদ্ধাদের শহরের বাইরে অপেক্ষা করতে জানিয়েছে এবং হিংসা করতে মানা করেছে। যে বা যাঁরা কাবুল ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মহিলাদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি বিনা বাধায় যোদ্ধারা ঢুকে আসছেন রাজধানীতে।
 
  
 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
    