তালিবানের (Taliban) তরফে বলা হয়েছিল এ তালিবান দু'দশক আগের তালিবান নয়। কিন্তু মুখের কথা আর কাজে যে বিস্তর ফারাক, এদিনের ঘটনায় আবারও একবার স্পষ্ট হল বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। আফগানিস্তানে (Afghanistan) প্রকাশ্যে চারজনকে গুলি করে শহরের মধ্যস্থলে ঝুলিয়ে রাখা হল দেহ। দেওয়া হল হুঁশিয়ারি, 'অপহরণকারীদের এভাবেই শাস্তি দেওয়া হবে'। এই নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় গোটা বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বলা হচ্ছে, সময় বদলালেও বদলায়নি তালিবানি মানসিকতা।
এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাত শহরে। তালিবানের তরফে দাবি করা হয়েছে, যাদের হত্যা করা হয়েছে, তারা অপহরণকারী। অপহরণকারীদের কোনভাবেই রেয়াত করা হবে না। দেওয়া হবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। হেরাত প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর মাওয়াওয়ালি শির আহমদ মুজাহির বলেছেন, "অপহরণকারীদের এভাবেই শাস্তি দেওয়া হবে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রেখে এই বার্তা দেওয়া হবে শহরের কোথাও অপহরণের মতো ঘটনা সহ্য করা হবে না।"
উল্লেখ্য, স্যোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে ট্রাকে করে দেহগুলি এনে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মৃতদেহ গুলোর গায়ে লিখে দেওয়া হয়েছে, অপহরণকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধ করলে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি মিলবে। তালিবানের তরফে দাবি করা হয়েছে, শনিবার খবর আসে এক ব্যবসায়ী এবং তাঁর দুই ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীরা সমস্ত চেক পয়েন্ট আটকে দেয়। অপহরণকারীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। আর সেখানেই তারা মারা যায়। মারা যাওয়ার পর তাদের শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রেনের মাধ্যমে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে খবর।
আফগানিস্তানে কিছু দিন তালিবান ক্ষমতায় ফিরেছে। এরপর একের পর এক ফতোয়া জারি করেছে। তালিবানের তরফে বলা হয়েছিল এ তালিবান দু'দশক আগের তালিবান নয়। যদিও কথা ও কাজের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। সময় যেতেই ফিরে আসছে দু'দশক আগের নৃশংস তালিবানি অত্যাচারের দৃশ্য। এই ঘটনায় গোটা বিশ্ব শিহরিত। যদিও তালিবানের দাবি, অপরাধ করলে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি মিলবে।