আচমকাই ঘূর্ণিঝড় ব্রিটেনে (Britain)। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে উড়ে গেল একের পর এক বাড়ির ছাদ, উল্টে গেল বড় বড় গাছপালা। ঘূর্ণিঝড়ের দাপট এমনই ভয়ঙ্কর যে ভাঙল গাড়ি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরও কিছুজনের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক কালে এমন ঘূর্ণিঝড় ইংল্যান্ডবাসী দেখেননি।
ঘূর্ণিঝড়ের নাম ইউনিস (Storm Eunice)। আটলান্টিক মহাসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় এসে হঠাৎ-ই আছড়ে পড়ে ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম অংশে। আচমকাই ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে তছনছ গোটা এলাকা। বন্ধ বিদ্যুৎ পরিষেবা, বাতিল হয়েছে বহু ট্রেন, অনেক জায়গায় আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। বিভিন্ন রাস্তায় গাছপালা উপড়ে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ঝড়ের বেগ এতটাই বেশি ছিল যে ইংল্যান্ডের ও-টু অ্যারিনা স্টেডিয়ামের ছাদ উড়ে গেছে।
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে এই ঘূর্ণিঝড়ের স্পষ্ট দাপট মানুষ স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছে। ইংল্যান্ডের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১২২ মাইল অর্থাৎ ঘন্টায় প্রায় ১৯৬ কিলোমিটার। এমন ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সাম্প্রতিক কালে ঘটেনি। কেবল ইংল্যান্ড নয়, ইউরোপের উত্তরাংশের বেশ কয়েকটি দেশ যেমন বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসে প্রভাব ফেলেছে।
ব্রিটেনের অন্তত তিনজন মারা গেছেন। দক্ষিণ ইংল্যান্ডের এক ব্যক্তি গাড়িতে ছিলেন। ঝড়ের দাপটে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সজোরে একটি গাছে গিয়ে ধাক্কা লাগে, আর তাতেই তিনি মারা যান। বছর তিরিশের একজন মহিলা গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের অন্তত তিনজন মানুষের গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা। উদ্ধার কার্য চলছে।