চরম আর্থিক সংকটে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। এপ্রিলের ১ তারিখ থেকেই সেদেশে জারি জরুরি অবস্থা।
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। গত কয়েক দিন ধরেই সেদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই চিত্র উঠে আসছিল। তার সঙ্গে জ্বালানির ঘাটতি সাধারণ জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। জ্বালানি সংকট মেটাতে দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিংয়ের অভিযোগ করেছেন সেদেশের মানুষ। কিছুদিন সহ্য করার পর আর ঘরে থাকতে না পেরে গতকাল রাস্তায় বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। অনেক জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আর এমন পরিস্থিতিতে দেশকে শান্ত রাখতে জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই বলে জানিয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাক্ষে।
গত দিন কয়েক শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। বিভিন্ন ক্ষেত্র আর্থিক সংকটে রীতিমতো ধুঁকছে। বৃহস্পতিবার থেকে এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ মিছিল, অবস্থান বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাক্ষের বাসভবনের সামনে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করেন একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া উপায় ছিল না, বলেছেন শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাক্ষে।
শুক্রবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর অধিকাংশ জায়গায় কার্ফু জারি করে শ্রীলঙ্কান পুলিশ। তারপর প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাক্ষের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন একদল উত্তপ্ত জনতা। পরিস্থিতি অচিরেই ভয়াবহ হয়ে ওঠে। সেদেশের আর্থিক সংকট গত কয়েক বছরের মধ্যে এমন চরম সংকটের মধ্যে পড়েনি।